আবারও রাশিয়ার দ্বারস্থ মিয়ানমারের জান্তা সরকার
ইউক্রেনে অভিযান শুরুর পর পশ্চিমা বিশ্ব থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন রাশিয়া। একই অবস্থা মিয়ানমারেরও। দেশটিতে জান্তা সরকার ক্ষমতা দখলের পর একঘরে হয়ে পড়েছে নেপিডো।
এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়া ও মিয়ানমার নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ আরও বাড়াতে তৎপর হয়েছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে সম্প্রতি মস্কো সফরে যান মিয়ানমারের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা।
উদ্দেশ্য, দুই দেশের মধ্যে সামরিক সম্পর্ক জোরদার এবং পারমাণবিক জ্বালানির ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহায়তা করা। রোববার প্রকাশিত কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে এসব তথ্য উঠে আসে।
খবরে বলা হয়, মস্কোতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগুর সঙ্গে বৈঠক করেন মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং। ওই বৈঠকের পর মিয়ানমারের সরকারি সংবাদমাধ্যম জানায়, বর্তমানের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সামনের দিকে আরও এগিয়ে নিতে এবং সামরিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা বাড়াতে দুজনের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে অং সান সু চি সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। তবে সেই অভ্যুত্থানের তেমন একটা আন্তর্জাতিক সমর্থন পায়নি জান্তা সরকার। এরপর আবার সামরিক সরকারবিরোধী আন্দোলন সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে তাদের। এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়াকে পাশে পেয়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার।
মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং বেশ কয়েকবার রাশিয়া সফরে গেছেন। পশ্চিমা অনেক দেশই মিয়ানমারের সেনাবাহিনী, সামরিক কর্মকর্তা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও সে পথে হাঁটেনি রাশিয়া।
মানবাধিকার সংস্থা প্রগ্রেসিভ ভয়েসের চেয়ারপারসন খিন ওহমারের ভাষায়, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধের সহায়তা করছে ও উৎসাহ দিচ্ছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সরকার। জান্তা প্রতিদিনই এই অপরাধ করছে। তবে এর কোনো দায় তারা নিচ্ছে না।
রাশিয়ার কাছ থেকে জান্তা সরকার সবচেয়ে বড় সহায়তা পেয়েছে বিমানবাহিনীর ক্ষেত্রে। সম্প্রতি মিয়ানমারের যে প্রতিনিধি দল মস্কো সফরে যান, এর মধ্যে ছিলেন বিমানবাহিনীর প্রধান।