ব্রিটেনে পানি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা
যুক্তরাজ্যের ১০০ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম পানি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো। এই গ্রীষ্মে হজপাইপ বা বাগানে পানি দেওয়ার ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা। আগামী ৫ আগষ্ট থেকে সাউদান ওয়াটার নামের কম্পানী ব্রিটেনে প্রথম পানি ব্যবহারে এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। যা আস্তে আস্তে ব্রিটেনে অন্যান্য অঞ্চলে কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বলা হচ্ছে, নতুন এই নিয়মের কারনে প্রাথমিক ভাবে হ্যামশায়ার ও আইলে ওয়াইটের ১৫ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। নতুন এই নিষেধাজ্ঞার কারনে এই এলাকার মানুষ বাইরে পাইপ দিয়ে পানি দিতে পারবে না। ব্যক্তিগত গাড়ি ও নৌকা পরিস্কার করতে পারবে না। ব্যক্তিগত সুইমিং পুল, পুকুর, ব্যক্তিগত ঝর্ণায় পানি ব্যবহার করা যাবে না। এছাড়া রাস্তা, জানালা কিংবা বাইরের কিছু ব্যবহার করার ক্ষেত্রে পাইপ দিয়ে পানি দেওয়া যাবে না।
বাসা বাড়ির জন্য যে নিয়ম ঠিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্যও এই নিয়ম। তাই যাদের বাগান বা নার্সারী ও কার ওয়াশের ব্যবসা তাদের জন্যও আলাদা করে লাইসেন্স নিতে হবে।
এদিকে এই ঘটনা ব্রিটেনের ১০০ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম ঘটেছে। আর এর কারন পানি সংকট। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই সংকট ব্রিটেনের অন্যান্য অঞ্চলে ছড়িয়ে পরতে পারে।
এদিকে আসন্ন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট মোকাবেলায় জার্মানির হ্যানোভার শহরের আবাসিক ভবনগুলোতে গরম পানি বন্ধ করে দিয়েছে এবং ঘর গরম রাখার সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও কমিয়ে আনা হয়েছে।। নতুন নিয়মের অধীনে সরকারি কর্মকর্তাদেরও কাজের সময় ঠান্ডা পানিতে হাত ধুতে হবে।
ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালানোয় রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে পাল্টা চাপে পশ্চিমারাও। এরই মধ্যে নর্ড স্ট্রিম-১ পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে রাশিয়া।
এমন পরিস্থিতিতে আসন্ন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট মোকাবেলায় জার্মানির হ্যানোভার শহরের নগর কর্তৃপক্ষ আবাসিক ভবনগুলোতে গরম পানি বন্ধ করে দিয়েছে এবং ঘর গরম রাখার সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও কমিয়ে আনা হয়েছে।
এর আগে হ্যানোভারের নগর কর্তৃপক্ষ সোমবারই জানিয়েছিল স্পোর্টস হল, জিম ও পুলসহ আবাসিক ভবনে গরম পানি সরবরাহ বন্ধ করা হবে। এমনকি নতুন নিয়মের অধীনে সরকারি কর্মকর্তাদেরও কাজের সময় ঠান্ডা পানিতে হাত ধুতে হবে।
শহরের বাসিন্দাদের বাড়ির ভেতরে থাকাকালীন ঠান্ডা তাপমাত্রার জন্যও প্রস্তুত হতে হবে। নতুন নিয়মে, ডে-কেয়ার সেন্টারসহ আবাসিক ভবনগুলোতে সর্বাধিক কক্ষ তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখতে হবে। স্পোর্টস হল ও জিমে ১৫ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রা রাখতে পারবে না।
ফোয়ারা, টাউন হল, শহরের জাদুঘর ও অন্যান্য আবাসিক ভবনগুলোর জন্যও যেকোনো বাহ্যিক আলোকসজ্জা বন্ধ থাকবে। শুধু হ্যানোভার শহরই নয়, জার্মানির ডুসেলডর্ফ শহরেও জ্বালানি সাশ্রয় করার জন্য শরৎ ও শীতেও ঘর গরম রাখার তাপমাত্রা কমানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
রাশিয়া থেকে গ্যাস সরবরাহ কমে যাওয়ায় এরই মধ্যে ইউরোপে গ্যাসের দাম ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বার্লিন চাচ্ছে, গ্যাসের চাহিদা কমিয়ে আনতে।