রাজধানীতে গণপরিবহন সংকট, বিপাকে নগরবাসী
শুক্রবার রাতে হঠাৎ করে দেশে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় সরকার। সরকারের ঘোষণার পর থেকেই ফিলিং স্টেশনগুলোতে যানবাহনের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। চাপের কারণে অনেক পেট্রোল পাম্প রাতে বন্ধ করে দেয়া হয়।
এমন পরিস্থিতি প্রয়োজনীয় জ্বালানি না পেয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা যায় অনেক মোটরসাইকেল চালককে। ঘটে সড়ক অবরোধের মতো ঘটনাও। এরইমধ্যে বিভিন্ন বিভাগীয় শহরেও যান চলাচল বন্ধের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
শনিবার সকাল থেকে ব্যস্ত রাজধানীর চিরচেনা রূপ দেখা যায়নি। সকাল প্রায় ১০টা পর্যন্ত রাজধানীতে খুব একটা গাড়ি চলাচল করতে দেখা যায়নি। বিশেষ করে গণপরিবহনের সংকট রয়েছে রাস্তায়।
দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর কোনো কোনো রুটে একটি বাস এলেও সেটিতে ওঠার আশায় ছুটে যাচ্ছেন অনেক বেশি মানুষ। সেসব বাসগুলো আগে থেকে যাত্রীতে পরিপূর্ণ হয়ে আসছে। ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে বাসগুলোতে কেউ উঠতে পারছেন না। তাই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে।
বাসের অপেক্ষায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা রাকিব নামে এক যাত্রী বলেন, কোনো শনিবারে গণপরিবহনের এমন সংকট দেখিনি। ১ ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি কোনো বাসে উঠতে পারছি না।
হানিফ ফ্লাইওভারের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় আজ রাস্তায় গণপরিবহন একেবারে কম। শত শত মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও গণপরিবহন পাচ্ছে না।
বাসের অপেক্ষায় থাকা গাজী ইন্টারন্যাশনালে কর্মরত সুমন নামে একজন বলেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। শনিবারেও অফিসে যেতে হয়। সকাল থেকে দাঁড়িয়ে আছি। কোনো বাস পাচ্ছি না। এদিকে অফিসের সময় হয়ে গেছে।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের মতো সাধারণ মানুষের কষ্টে সরকারের কিছু আসে যায় না।
রাত ১২টার পর জ্বালানি তেলের নতুন দাম কার্যকর হয়েছে। ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ৩৪ টাকা বাড়িয়ে ১১৪ টাকা, পেট্রোলের দাম ৪৪ টাকা বাড়িয়ে ১৩০ টাকা এবং অকটেনের দাম ৪৬ টাকা বাড়িয়ে ১৩৫ টাকা করা হয়েছে।