সারাদেশে চলছে হরতাল, নির্বিঘ্নে চলছে যানবাহন
জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সারাদেশে বাম জোটের ডাকা আধাবেলা হরতাল চলছে। হরতালের সমর্থনে জোটের নেতাকর্মীরা পল্টন এলাকায় মিছিল করলেও ছিল না কোনো উত্তাপ। বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া এ হরতাল চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সকাল ৬টায় বাম জোটের এ হরতাল শুরু হলেও রাজধানীর বায়তুল মোকাররম, জিরো পয়েন্ট, গুলিস্তান, প্রেস ক্লাব এলাকার সড়কগুলোতে নির্বিঘ্নে চলছে যানবাহন। অফিসের জন্য বের হয়েছেন মানুষজন। ব্যবসায়ীরা খুলতে শুরু করেছেন দোকানপাট।
সরেজমিন দেখা যায়, অন্যান্য দিনের মতো সকাল থেকেই সড়কে চলছে গণপরিবহনসহ সব ধরনের যানবাহন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সে সংখ্যা বাড়ছে।
এর আগে, হরতালের সমর্থনে বুধবার (২৪ আগস্ট) রাতে রাজধানীর পল্টন মোড়ে বাম জোটের হরতালের সমর্থনে একটি মিছিল বের হয়। মিছিল থেকে বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করাসহ রাস্তায় গাড়ির টায়ারে অগ্নিসংযোগ করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় চারজনকে আটক করা হয়। অন্যদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
বুধবার (২৪ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো দলটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জ্বালানি তেল, ইউরিয়া সার, খাদ্যসহ নিত্যপণ্যের দাম, পরিবহন ভাড়া কমানো এবং বিদ্যুৎ-গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রক্রিয়া বন্ধের দাবিতে হরতালের ডাক দেয়া হয়েছে। বাম গণতান্ত্রিক জোট এ হরতাল আহ্বান করেছে। এতে ৯ সংগঠনের সমর্থন রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বেশ কিছুদিন ধরে এ নিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়েছে। সেসবে সাধারণ জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থনও পাওয়া গেছে। তারা তাদের কষ্টের কথাও তুলে ধরেছেন।
তবে এসব করতে গিয়ে সরকারি দলের সন্ত্রাসী ও পুলিশি বাধার সম্মুখীন হয়েছে দলটি। তবু সাহসের সঙ্গে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। ফলশ্রুতিতে কাল ‘দাম কমাও, মানুষ বাঁচাও’ স্লোগানে সারাদেশে হরতাল পালিত হবে।
এদিকে হরতালে যেকোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়া বিভিন্ন সড়কের মোড়ে মোড়ে পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
অন্যদিকে বুধবার (২৪ আগস্ট) রাত পৌনে ১১টায় রাজধানীর পল্টন মোড়ে হরতালের সমর্থনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বেশ কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।