কোন দেশে কীভাবে শ্রদ্ধা রানিকে
ইউরোপের এক দীর্ঘ ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ব্রিটিশ রাজপরিবার। সেই ইতিহাসের অংশ ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথও। তার মৃত্যুতে যুক্তরাজ্যের সাম্রাজ্যবাদী ইতিহাসের কারণে অনেকেই ব্রিটিশ রানিকে শ্রদ্ধা জানাতে অপারগতা জানালেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানসহ অনেক মানুষও ব্রিটিশ রানির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
ব্রিটিশ রানির মৃত্যুতে শোকাহত অস্ট্রেলীয়রা। রানিকে শ্রদ্ধা জানাতে সিডনির বিখ্যাত অপেরা হাউসের দেয়ালে রানির ছবি প্রদর্শন করা হয়। ক্যানবেরায় পার্লামেন্ট হাউসে সাধারণ অস্ট্রেলীয়দের জন্য রানিকে শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ রাখা হয়েছে।
দেশটির পার্লামেন্টের সামনে রানির মৃত্যুতে শোক জানাতে পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।
আমেরিকার নাগরিকরাও ব্রিটিশ রানির প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। সেখানকার ব্রিটিশ পাবগুলোতে রানিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তার ছবি রাখা হয়েছে এবং মোমবাতি ও ফুল দিয়ে ছবির স্থানটি সাজিয়ে রাখা হয়েছে। ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত ব্রিটিশ দূতাবাসের সামনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে আমেরিকানরা।
এমনকি দেশটির খেলাধুলা সংক্রান্ত দলগুলোও খেলা শুরুর আগে রানির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নীরবতা পালন করছেন। শোক জানাতে হোয়াইট হাউসে জাতীয় পতাকাও অর্ধনমিত রাখা হয়েছে।
রানির মৃত্যুতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে ব্রাজিল। দেশটির রাজধানী রিও ডি জেনিরিওর বিখ্যাত খ্রিষ্টমূর্তিকে ইউনিয়ন জ্যাকের (ইংল্যান্ডের জাতীয় পতাকা) রঙে আলোকিত করা হয়েছে।
সাউথ আফ্রিকার কেপটাউনের সিটি হলকেও ইউনিয়ন জ্যাকের আলোয় আলোকিত করা হয়েছে। রানির মৃত্যুতে শোক জানাতে প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের বাতি নেভানো হয়।
কানাডার প্রেসিডেন্ট জাস্টিন ট্রুডো রানির মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন। দেশটির বিলবোর্ড ও ভবনগুলোতে শোভা পাচ্ছে রানির ছবি।