সীমান্তে আবারও মিয়ানমারের গুলির শব্দ, আতঙ্ক
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের মর্টার শেলে এক রোহিঙ্গা নিহতের পর শনিবারও বিকট গোলার শব্দ শোনা গেছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নিরাপত্তার কারণে গ্রাম ছেড়ে অন্য জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে অন্তত ৩৫টি পরিবার। এদিকে, ঘটনার পর থেকে সীমান্ত এলাকায় চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে তুমব্রু কোনারপাড়া সীমান্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ছোড়া চারটি মর্টার শেল এসে পড়ে বাংলাদেশ সীমান্তে। এতে শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইকবাল নামে এক যুবক নিহত হন। এছাড়াও আহত হয়েছেন রোহিঙ্গা শিশুসহ চারজন।
তুমব্রু কোনারপাড়ার বাসিন্দা নুর হাসিনা জানান, তার বাড়িতে শুক্রবার রাতে এসে পড়ে একটি মর্টার শেল। কিন্তু সেটি বিস্ফোরিত হয়নি। তবে, তার বাড়ির কিছু দূরে আরও একটি মর্টার শেল পড়ে বিস্ফোরিত হয়। এই আতঙ্কে তার পুরো পরিবার এখন আশ্রয় নিয়েছে তুমব্রু মাঝেরপাড়ায়।
এদিকে তুমব্রু সীমান্তে বাংলাদেশের ভেতরে মর্টার শেল এসে পড়ায় কোনারপাড়ার ৩৫টি পরিবার এখন অন্যত্র নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।
তুমব্রু রোহিঙ্গা ক্যাম্প কমিটির চেয়ারম্যান দিল মোহাম্মদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সন্ধ্যার পর থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। রাত ৮টার দিকে শূন্যরেখায় বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে এসে পড়ে তিনটি মর্টার শেল। ক্যাম্পের নিটকবর্তী এলাকায় এসে পড়ে আরও একটি মর্টার শেল। আহতদের মধ্যে চারজনকে উদ্ধার করে কুতুপালংস্থ এমএসএফ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিজিবি, পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।