৭ ব্রিটিশ বাংলাদেশী ঢাকায় গ্রেফতার
গ্রাহকদের পলিসির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ‘হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড’-এর ৭ পরিচালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে সিলেট ও লন্ডনে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
রাজধানী ঢাকার মতিঝিলের ‘হোমল্যান্ড লাইফ’-এর প্রধান কার্যালয় থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত সকলেই বিলেতের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী; সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার বাসিন্দা এবং ব্রিটিশ নাগরিক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গ্রেফতারকৃতরাসহ ফয়জুল হক নামের আরেক ব্যবসায়ীসহ মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে সম্প্রতি খুলনা বিভাগের মাগুরার আদালতে পৃথক ৪টি মামলা দায়ের করা হয়। সিআর মামলা নং-২২৭/২২,২২৮/২২,২২৯/২২,২৩০/২২। ধারা নং ৪০৬ ও ৪২০ দন্ডবিধি। মাগুরা জেলার সদর উপজেলার মৃত সৈয়দ বেলায়েতের ছেলে সৈয়দ মোফাক্কার আলী, একই উপজেলার বুধইরপাড়ার মৃত ধলা বিশ্বাসের ছেলে মো. আজর আলী, ওই উপজেলার ছয়চার গ্রামের মৃত সাদেক আলী মোল্লার ছেলে মো. নায়েব আলী ও পার্শ্ববর্তী ঝিনাইদহ জেলার কালিয়াগঞ্জ উপজেলার সড়াবাড়ীয়া গ্রামের মো. নওশের আলীর ছেলে মো. হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে এসব মামলা দায়ের করেন।
পরে আদালত মামলাগুলো আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা হয়।
বিষয়টি জানাজানির পর ব্রিটিশ বাংলাদেশীদের মনে প্রশ্ন জেগেছে যে কি অপরাধে তাদেরকে গ্রেফতার করা হলো। তাদের দাবি, বিলেত এবং বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত এমন ৭ ব্যবসায়ীকে গ্রেফতারের বিষয়টি যেনো পুনরায় বিবেচনা করেন বাংলাদেশের পুলিশ প্রশাসন।
মতিঝিল থানা সূত্র জানিয়েছে, মাগুরায় দায়েরকৃত একটি মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হোমল্যান্ডের মধ্যেকার নানা অনিয়মের ব্যাপারে এসব প্রবাসী পরিচালকরা সোচ্ছার হলে তাদেরকে শিক্ষা দিতেই মুলত এমন মামলা সাজানো হয়েছে বলে অনেকের ধারণা। এদিকে এমন সময় তাদেরকে গ্রেফতার করা হলো যখন কি না তাদেরকে জামিনে বের করতে চাইলেও কয়েকটা দিন সময় লাগবে।
অনেকেই বলছেন, বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন সময়ে প্রবাসীদের বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতে নানা উদ্দ্যোগ গ্রহণ করে থাকেন। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো দেশে বিনিয়োগ করে সম্মানিত প্রবাসীরা যখন নানা ভাবে হয়রানীর শিকার হন তখন কিন্তু এসবের কোন প্রতিকার হয় না। এই ঘটনাটি তারই প্রমান হিসেবে দেখছেন অনেকে।