যুক্তরাজ্যে কেন পড়াশোনা করবেন?
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য যুক্তরাজ্য সবচেয়ে জনপ্রিয় স্থান। দেশটির উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা বিভিন্ন খাতে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যুক্তরাজ্যে ১৩০টি নিবন্ধিত উচ্চশিক্ষা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যার মধ্যে, স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ১০৫টি, আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় ২০টি ও বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ রয়েছে ৫টি। দেশটিতে পড়াশোনা করে ক্যারিয়ার গড়ে তোলার জন্য যুক্তরাজ্যে স্টুডেন্ট ভিসা প্রচলিত আছে। যুক্তরাজ্যে মূলত তিন ধরনের স্টুডেন্ট ভিসা প্রচলিত রয়েছে। এই তিন ধরনের ভিসা থেকে আপনার প্রয়োজনমতো ভিসা বাছাই করে সেটার জন্য আবেদন করতে হবে।
টায়ার ফোর (জেনারেল স্টুডেন্ট ভিসা): ১৬ বছরের ঊর্ধ্বে যে কোনো বয়সের একজন শিক্ষার্থী এই ধরনের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করতে হবে ক্লাস শুরু হওয়ার তিন মাস পূর্বে। ছয় মাসের কম মেয়াদি কোনো কোর্স হলে এক সপ্তাহ পূর্বে যুক্তরাজ্যে পৌঁছাতে হবে এবং ছয় মাসের বেশি মেয়াদি কোনো কোর্স হলে সেক্ষেত্রে এক মাস পূর্বে যুক্তরাজ্যে পৌঁছাতে হবে।
টায়ার ফোর (চাইল্ড স্টুডেন্ট ভিস): ৪ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে যে কোনো বয়সের একজন শিক্ষার্থী এই ধরনের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবে। অবশ্যই শিক্ষার্থীকে যুক্তরাজ্যের যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে বৈধ স্পন্সরের মাধ্যমে গৃহীত হতে হবে। আবেদন করার পর তিন মাসের কম মেয়াদি কোনো কোর্স হলে সেক্ষেত্রে এক সপ্তাহ পূর্বে যুক্তরাজ্যে পৌঁছাতে হবে ও তিন মাসের বেশি মেয়াদি কোন কোর্স হলে সেক্ষেত্রে এক মাস পূর্বে যুক্তরাজ্যে পৌঁছাতে হবে।
শর্ট টার্ম স্টাডি ভিসা: যে কোনো বয়সের একজন শিক্ষার্থী এই ধরনের ভিসার জন্য আবেদন করবে। এই ধরনের কোর্সের মেয়াদ সর্বোচ্চ ১ বছর মেয়াদি হতে পারে। ভ্রমণের দিনের ওপর নির্ভর করে পৌঁছালেই চলবে। ভিসা সংক্রান্ত আরো তথ্যের জন্য যুক্তরাজ্যের সরকারি ওয়েবসাইটে ঘুরে আসতে পারেন।
কীভাবে ভিসার জন্য আবেদন করবেন?
আপনি যদি শুধুমাত্র বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে থাকেন, তাহলে যুক্তরাজ্যের সরকারি ওয়েবসাইট থেকে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করার সময় বিভিন্ন দেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা ও এর সাপোর্টিং ডকুমেন্টগুলোর স্ক্যান কপি যুক্ত করে দেবেন। যদি আপনার সাথে আপনার পরিবারের ভিসার জন্য আবেদন করে থাকেন, তাহলে তাদের তথ্যও যোগ করতে হবে।