৪ মন্ত্রী ছাঁটাই, ঋষির ডেপুটি ডমিনিক রাব
রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় দ্রুত কাজ শুরু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। তা-ই হলো। রাজার সঙ্গে সাক্ষাতের এক ঘণ্টার মধ্যেই নিজের মন্ত্রীসভার নাম ঘোষণা শুরু করেন ঋষি।
সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস সরকারের কয়েকজন মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বলেছেন নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। সন্ধ্যার মধ্যে দুটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগও দেন ঋষি। উপপ্রধানমন্ত্রী পদে ডমিনিক রাব এবং অর্থমন্ত্রী হিসেবে জেরেমি হান্টকে বেছে নিয়েছেন তিনি।
এ পর্যন্ত চার মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বলেছেন ঋষি। তাদের মধ্যে আছেন, বাণিজ্যমন্ত্রী জ্যাকব রিস-মগ, বিচারমন্ত্রী ব্র্যান্ডন লুইস, কর্ম ও পেনশনমন্ত্রী ক্লো স্মিথ এবং উন্নয়নমন্ত্রী ভিকি ফোর্ড।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন শাসনামলের উপপ্রধানমন্ত্রী ডমিনিক রাব আগের দায়িত্বের পাশাপাশি বিচারমন্ত্রীর দায়িত্বও সামলাবেন।
অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ার্টেংয়ের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন জেরেমি হান্ট।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে ফিরছেন সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান। প্রধানমন্ত্রীর অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল এসব নিশ্চিত করেছে।
সরকারি নিয়ম লঙ্ঘনের দায় নিয়ে গত সপ্তাহে ট্রাস সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ ছেড়েছিলেন সুয়েলা। গুঞ্জন রয়েছে, পদ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছিল তাকে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ট্রাসের নেয়া কিছু নীতির ঘোর সমালোচক ছিলেন সুয়েলা।
ঋষি সুনাক এমন এসময় প্রধানমন্ত্রী হলেন যখন কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বাজে অর্থনৈতিক সমস্যায় জর্জরিত ব্রিটেন। স্থবির প্রবৃদ্ধি, ১০ শতাংশের বেশি মৃদ্রাস্ফীতি, ইউক্রেন যুদ্ধ, করোনা মহামারি এবং ব্রেক্সিটের কারণে দেশটির অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়েছে। সঙ্গে যোগ হয়েছে সরকারের অস্থিতিশীলতা।
অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ২০ অক্টোবর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর দেন লিজ ট্রাস। পদে কেবল ৪৫ দিন দায়িত্ব পালন করেন।
ট্রাস বলেছিলেন, ‘যে ম্যান্ডেটের ভিত্তিতে কনজারভেটিভ পার্টি থেকে নির্বাচিত হয়েছি, আমি তা পূরণ করতে পারিনি। তাই মহামহিম রাজার সঙ্গে কথা বলেছি; তাকে অবহিত করেছি যে কনজারভেটিভ পার্টির নেতা হিসেবে পদত্যাগ করছি আমি।’
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজের প্রথম ভাষণে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং সক্ষমতা ধরে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ঋষি। তিনি বলেন, ‘আমরা আস্থা রেখেছেন, আমিও তার প্রতিদান দেব।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজের উত্থানকে পূর্বসূরিদের ‘ভুল’ সংশোধনের উপায় হিসেবে দেখছেন ঋষি সুনাক।
তিনি বলেন, ‘শক্তিশালী ন্যাশনাল হেলথ কেয়ার সিস্টেম, স্কুল, নিরাপদ রাস্তা, সশস্ত্র বাহিনীকে সহায়তা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে আমাদের সরকার। আর এসবের প্রতিটি স্তরে থাকবে সততা, পেশাদারিত্ব এবং জবাবদিহিতা।’