অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমেও বাংলাদেশের সঙ্গে কোহলির ‘প্রতারণা’র খবর
ভারতের বিপক্ষে মাত্র ৫ রানের পরাজয় গত তিন দিন ধরেই পোড়াচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমর্থকদের।
কারণ ম্যাচে বিরাট কোহলির ‘ফেক ফিল্ডিং’য়ের শাস্তি হিসেবে ৫ রান পেনাল্টি পাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের, যা নিয়ে চলছে তুমুল বিতর্ক।
ম্যাচশেষে গণমাধ্যমের সামনে সে আক্ষেপের কথা তুলে ধরেন উইকেটকিপার-ব্যাটার নুরুল হাসান সোহান। এর পর বিতর্ক আরও তুমুল আকার ধারণ করে ভারত-বাংলাদেশের গণমাধ্যম ছাপিয়ে বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে।
স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমগুলোতেও বিরাট কোহলির এ প্রতারণা এখন আলোচিত বিষয়।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনি মর্নিং হেরাল্ড, নিউজডটকম, সেভেন স্পোর্টস, নাইন স্পোর্টসসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কোহলির সেই ফেক ফিল্ডিং নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলোর মতোই সেসব প্রতিবেদনের প্রশ্ন তোলা হয়েছে— ‘সাকিবদের বিপক্ষে ‘ফেক ফিল্ডিং’-এর জন্য ভারতীয় তারকা বিরাট কোহলির কি শাস্তি হওয়া উচিত ছিল না?’
আরও প্রশ্ন উঠেছে— এমন একটি প্রতারণা কীভাবে আম্পায়ারদের নজর এড়িয়ে গেল?
সিডনি মর্নিং হেরাল্ড শিরোনাম করেছে, ‘ভুয়া ফিল্ডিংয়ের অভিযোগে অভিযুক্ত কোহলি’।
সেভেন স্পোর্টস শিরোনাম করেছে— বিরাট কোহলির অদ্ভুত ‘প্রতারণা’ আম্পায়ারদের নজরে পড়েনি’। গণমাধ্যমটি লিখেছে, ‘আইনে ভারতের জন্য ৫ রানের জরিমানা হওয়া উচিত ছিল, যা ছিল তাদের সঠিক জয়ের ব্যবধান। ’
নাইন স্পোর্টস ব্যানার শিরোনাম করেছে, ‘বাংলাদেশ বিরাট কোহলিকে ‘অন্যায়’ পদক্ষেপে ‘ভুয়া ফিল্ডিংয়ের’ অভিযোগ করেছে এবং যা প্রমাণিত। ’
কোহলির সেই প্রতারণার ভিডিও ম্যাচের পর পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। যাতে স্পষ্টতই প্রমাণ মেলে, ভুয়া ফিল্ডিং করে ব্যাটারদের বিভ্রান্তের চেষ্টা করেছেন তিনি।
ইনিংসের সপ্তম ওভারে অক্ষর প্যাটেলের বলকে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ঠেলে রানের জন্য দৌড় দেন লিটন দাস। আর্শদ্বীপ সিং বলটি ফিল্ডিং করে ছুড়ে দেন। কোহলি যে পয়েন্টে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তার পাশ দিয়ে বলটি চলে গেলেও তিনি তা থ্রো করার ভান করেছিলেন।