বুয়েটছাত্র পরশ হত্যায় জড়িতরা সবাই চিহ্নিত
নারায়ণগঞ্জের চনপাড়ায় বুয়েটছাত্র ফারদিন নূর পরশের কিলিং মিশনে অংশ নেয় ১০-১২ জন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সোর্স ভেবেই তাকে খুন করা হয়। হত্যায় জড়িতরা সবাই চিহ্নিত। তবে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার বুশরার জড়িত থাকার প্রমাণ মেলেনি। নিখোঁজের তিন দিন পর গত ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার করা হয় বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদীনের মরদেহ। তৈরি হয় ব্যাপক চাঞ্চল্য।
ঘটনার পর হত্যা মামলা করেন ফারদীনের বাবা। মামলা তদন্ত করতে গিয়ে একাধিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী অনেকটাই বেকায়দায় পড়ে। কীভাবে মরদেহ এলো শীতলক্ষ্যায়, কারা খুন করল ফারদীনকে–এসব রহস্যের জট খুলতে গিয়ে ক্লুলেস এ মামলার তদন্তভার আসে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে।
একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ আসে পুলিশের কাছে, যেখানে ফারদীনকে তার বান্ধবী বুশরার সঙ্গে রিকশায় দেখা যায় রামপুরা এলাকায়। ফারদীনের বাবার করা হত্যা মামলায় বুশরা এক নম্বর আসামি। গ্রেফতারও করা হয় তাকে। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে। যদিও হত্যায় বুশরার জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ এখন পর্যন্ত পায়নি পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিখোঁজ হওয়ার দিন ফারদীন কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন এবং তার সবশেষ অবস্থান কোথায় ছিল তা বের করে। অপরাধ-সাম্রাজ্য হিসেবে পরিচিত নারায়ণগঞ্জের চনপাড়া বস্তিতে পাওয়া যায় ফারদীনের সবশেষ অবস্থান।
বস্তিতে শুরু হয় অভিযান। চনপাড়াকেন্দ্রিক অপরাধী চক্রের বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে শুরু হয় ওই এলাকার চিহ্নিত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার তৎপরতা। আটকও করা হয় কয়েকজনকে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি গোয়েন্দা সূত্র সময় সংবাদকে ফারদীন হত্যায় জড়িত সবাইকে চিহ্নিত করার কথা জানিয়েছে। সংস্থাটি বলছে, ফারদীন হত্যায় অংশ নেয় ১০-১২ জন। তাকে হত্যা করা হয় চনপাড়া বস্তিতেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স ভেবে তাকে হত্যা করে মাদক কারবারিরা।