বাইডেনের সঙ্গে ঋষি সুনাকের বৈঠক
ইন্দোনেশিয়ায় আয়োজিত জি-টোয়েন্টি সম্মেলনের ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। তিনি যুক্তরাজ্যর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে এটাই প্রথম দ্বিপক্ষীয় বৈঠক বলে জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। বুধবার (১৬ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে দুই শীর্ষ নেতার আলোচনায় উঠে আসে রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যু। এ সময় রাশিয়ার সামরিক অভিযানকে অত্যন্ত বর্বোরচিত বলে আখ্যা দেন দুই নেতা। পাশাপাশি যতদিন ইউক্রেনে পুতিন সেনাদের হামলা অব্যাহত থাকবে ততদিন দেশটিকে সাহায্য করার ঘোষণা দিয়েছেন বাইডেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, আমরা ইউক্রেন এবং দেশটির নাগরিকদের পাশে আছি। যতদিন রাশিয়ার তাদের আগ্রাসী ভূমিকা পালন করবে ততদিন আমরা তাদের সাহায্যে করবো।
দুইদিনের আয়োজিত সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও বৈঠক করেন সুনাক। তাদের বৈঠকের পরই প্রতিবছর ভারত থেকে তিন হাজার তরুণ পেশাজীবী নেয়ার কথা জানায় ব্রিটিশ সরকার। এর ফলে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক শক্তিশালী হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এমনকি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে এটি গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
এদিকে জি-টোয়েন্টি সম্মেলনের মধ্যে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁ। এসময় ইউক্রেনে চলমান রুশ হামলার তীব্র নিন্দা জানান তারা।
এছাড়া খাদ্য ও জ্বালানিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। জি-টোয়েন্টির সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে নিজ দেশের উদ্বেগের কথা জানান তিনি। এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা। এর ঘোষণার পরে সময় না মেলায় বাতিল হয়ে যায় শি এবং সুনাকের পূর্ব নির্ধারিত বৈঠক। তবে দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বৈঠক না হলেও তাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আগের মতোই স্থিতিশীল থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চীন।
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানই বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের উপায় বলে মন্তব্য করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলজ। জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা বিষয়ক অধিবেশনে দেয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জি-টুয়েন্টি সম্মেলনে অংশগ্রহনকারী নেতারা। সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর অভিযানের তীব্র নিন্দা জানায় তারা। পাশাপাশি দেশটির হাসপাতাল, স্কুল- কলেজ, অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি ও পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকিরও বিরোধিতা করেন তারা। এমনকি যুদ্ধের কারণে কৃষ্ণ সাগরে শস্যবাহী জাহাজ বন্ধ থাকায় বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করেন তারা। তবে বিশ্ব নেতাদের নিন্দা প্রকাশের পর এখন পর্যন্ত কোন মন্তব্য করে নি রুশ কর্তৃপক্ষ।