গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে যা বললেন রন্ধনশিল্পী টমি মিয়া এমবিই
প্রতারণার অভিযোগে ব্রিটিশ বাংলাদেশি রন্ধনশিল্পী টমি মিয়া ও তার প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে তার প্রতিষ্ঠান থেকে বহিস্কৃত এক ব্যক্তি আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। আর এই মামলাকে মিথ্যা আখ্যা দিয়ে মোঃ আজমান মিয়া (টমি মিয়া) এমবিই, এফ আর এস এ তার বক্তব্য জানিয়েছেন।
গত রোববার (১৩ নভেম্বর) লন্ডন থেকে টমি মিয়া তার প্রতিষ্ঠানের এক প্যাডে পাঠানো এক বিবৃতিতে যা বলেছেন তা পাঠকদের সামনে হুবহু তুলে ধরা হলো:
আমি, মোঃ আজমান মিয়া (টমি মিয়া) এমবিই, এফ আর এস এ, রন্ধন শিল্পের উপর গিনেজ রেকর্ডদ্বারি, বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে বাঙালি ঐতিহ্যবাহী খাবারকে প্রতিষ্টিত করার জন্যে কাজ করে যাচ্ছি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে হয়রানি করতে নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমি এর বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নিবো। তিনি বলেন, আমি ধারাবাহিকভাবে প্রতি বছর বাংলাদেশ ও ইউকেতে ‘শেফ অফ দা ইয়ার’ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছি। চলতি বছর ২০২২ এর ২৮ ফেব্রুয়ারি ‘কাচ্চি বিরিয়ানি চ্যালেঞ্জ’ প্রতিযোগিতারও আয়োজন করি। বাংলাদেশের বেকার সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে মানব সম্পদ উন্নয়নের জন্যে দেশব্যাপী আমার চারটি শেফ ট্রেনিং ইন্সটিটিউট সাফল্যের সাথে অবদান রেখে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, চলতি বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে বাঙালি ঐতিহ্যে লালিত বাঙালি খাবার ও বাঙালি সংস্কৃতিকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে ‘টমি মিয়া’স বাংলাদেশ ফুড ফেস্টিভ্যাল এন্ড কালচার’ উৎসবটি যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ব্রুনাইসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সফল ভাবে আয়োজন করে আসছি।
টমি মিয়া বলেন, আমার এবং আমার প্রতিষ্ঠানের এমডি তাজুল ইসলামের স্বাক্ষর জালিয়াতি করেন আমার ঢাকাস্থ ‘টমি মিয়া’স হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট ইন্সটিটিউট এর মার্কেটিং উপদেষ্টা এস এম আলী জাকের। তা প্রমানিত হওয়ায় তাকে চলতি বছর ২০২২ইং এর মার্চ মাসে চাকুরী থেকে বহিষ্কার করা হয়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে এস এম আলী জাকের আমার এবং আমার প্রতিষ্ঠানের এমডি তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা রকম অপ্রচার চালায় এবং হয়রানির উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলা দায়ের করে।
এস এম আলী জাকেরের বহিষ্কারের সময় ও তার পরবর্তী সময়কালে আমি ‘টমি মিয়া’স বাংলাদেশ ফুড ফেস্টিভ্যাল’ নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্রমণরত ছিলাম। এরই প্রেক্ষিতে আমি ৮ নভেম্বর ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে টমি মিয়া’স বাংলাদেশ ফুড ফেস্টিভ্যাল উৎসবের কারণে বাংলাদেশে আদালতে স্বশরীরে হাজির হতে পারিনি। আমার পক্ষে আমার প্রতিষ্ঠানের এমডি ও আমার নিযুক্ত আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, উক্ত মিথ্যা মামলা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে হয়রানির শিকারের কারণে পরবর্তী সকল আইনি পদক্ষেপ আমার প্রতিষ্ঠানের এমডি ও আমার নিযুক্ত আইনজীবী পরিচালনা করবেন।
এদিকে, লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সাবেক কনসাল্টেন্টের শিক্ষার্থী ভর্তি বাবদ ৪ লাখ টাকার পাওয়ার দাবিটি মিথ্যা জানিয়ে তিনি বলেন, আমি একজন বাংলাদেশি হিসেবে সবসময় বাংলাদেশকে প্রমোট করি। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আজকে আমি এখানে (সংবাদ সম্মেলন) এসেছি আপনার সাপোর্টের জন্য। এসময় তিনি সাংবাদিকদের সহযোগিতা চান। তার বিরুদ্ধে করা মামলা মোকাবিলা করার জন্য তিনি বাংলাদেশে আসবেন কি না সাংবাদিকের এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার লিগ্যাল টিম যখন বলবে তখন আমি বাংলাদেশে চলে আসবো।
টমি মিয়া সকল সাংবাদিকবৃন্দ ও শুভাকাক্ষিদেরকে তার সফলতায় ঈর্ষান্বিত হয়ে দেশীয় খাবার ও সংস্কৃতিকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী কুচক্রি মহলের বিরুদ্ধে সোচ্চার ও সতর্ক থাকার আহবান জানান।