যুক্তরাজ্যে হান্টের বাজেট ঘোষণা: কর ও ব্যয়ভার নিয়ে সিদ্ধান্ত
অর্থনীতির মাপকাঠিতে বিশ্বের শীর্ষ পঞ্চম অবস্থানে থাকা ব্রিটেন এখন নিজেরাই জর্জরিত আর্থিক সংকটে। ঘনঘন সরকারপ্রধান পরিবর্তনে অর্থসূচক যেন আরও ধাবিত হচ্ছে মন্দার দিকে। চলমান মারাত্মক সংকটের এই সময়ে বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) নতুন বাজেট পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রী জেরেমি হান্ট। এতে ব্রিটিশদের কর বাড়ানো ও ব্যয়ভার কমানোর সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
ব্রিটেনে চলমান আর্থিক সংকট নিজেরাই মোকাবিলা করতে সক্ষম ব্রিটিশরা–দেশটির অর্থমন্ত্রী জেরেমি হান্ট সেটাই এবার দেখাতে চান দেশবাসীকে। আর তাই বৃহস্পতিবার নতুন বাজেটের ঘোষণায় ব্রিটিশদের কর বাড়ানো ও ব্যয়ভার কমানোর সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের বাজেট পরিকল্পনার কারণে দেশটিতে যে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে, তা কাটিয়ে অর্থনৈতিক বিশ্বাসযোগ্যতা পুনরুদ্ধারের কথাও জানিয়েছেন হান্ট।
অর্থমন্ত্রী হান্ট বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের আমেল যুক্তরাজ্যের আর্থিক খাতের ওপর যে আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে তা থেকে বেরিয়ে আসতে এটা প্রয়োজন ছিল।
হান্ট আরও বলেন, ‘পেনশনভোগী, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, নার্স এবং আরও অনেকে ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। তাই আজ আমরা জীবনযাত্রার ব্যয়, সংকট মোকাবিলা এবং আমাদের অর্থনীতি পুনর্গঠনের জন্য একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করছি। আমাদের অগ্রাধিকার হলো স্থিতিশীলতা, আয় বাড়ানো ও জনসেবা। আমরা দুর্বলদেরও রক্ষা করি। কারণ, ব্রিটিশ হওয়া মানেই সহানুভূতিশীল হওয়া। এটি একটি সহানুভূতিশীল রক্ষণশীল সরকার।’
বাজটে আগামী বছর রাজস্ব থেকে ১ হাজার ৪০০ কোটি পাউন্ড আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন বাজেটে আয়কর প্রদানের ক্ষেত্রে স্তর বিন্যাস করা হয়েছে এবং উচ্চ করযোগ্য আয়ের সর্বোচ্চ সীমা কমিয়ে আনা হয়েছে। ফলে আরও বেশি মানুষকে এখন উচ্চহারে কর দিতে হবে।
ব্রেক্সিট ইস্যু নিয়ে ব্রিটেন চরম আর্থিক সংকটে পড়বে–এমন ধারণা আগেই করা হয়েছিল। এরপর টানা দু-বছর করোনা মহামারির প্রকোপের পর বিশ্ব অর্থনীতি যখন সবে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে, তখনই ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ বিশ্বমন্দা পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। এর প্রভাবে অনেকটাই বেসামাল ব্রিটেন।