চীনের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই তাইওয়ানে মধ্যবর্তী নির্বাচন
চীনের সঙ্গে টান টান উত্তেজনার মধ্যেই দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানে চলছে মধ্যবর্তী নির্বাচন। চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচনে তাইওয়ানের জনগণ কাকে বেছে নেয় সেটিই দেখার বিষয়। শনিবার (২৬ নভেম্বর) নির্বাচন ঘিরে কেন্দ্রগুলোতে দেখা যায় নাগরিকদের দীর্ঘ সারি। খবর রয়টার্সের।
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রটিকে বেইজিংয়ের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত করতে চীনের প্রচেষ্টা ও চীনশাসিত হংকংয়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের মধ্যে দেশটিতে বিভিন্ন আসনে চলছে স্থানীয় কাউন্সিল এবং সিটি মেয়র নির্বাচন। প্রতি চার বছর পর পর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের বিরোধ অনেক দিনের। চীন দেশটিকে নিজের অধীন বলে দাবি করে আসছে। যদিও তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন দাবি করে আসছে। এরই মধ্যে অভিযোগ উঠেছে চীন ফলাফল জালিয়াতির চেষ্টা করছে।
এই নির্বাচনে ভোট দেয়ার বয়স ১৮ তে নামিয়ে আনার জন্য একটি গণভোট যুক্ত রয়েছে। বর্তমানে ২০ বছরের অধিক বয়সীরা এই নির্বাচনে ভোটদান করছেন।
তরুণরা সংবাদমাধ্যমকে বলেছে, তারা সরাসরি “চীনের হুমকি” দ্বারা চালিত হচ্ছে। এটি একটি সমস্যা যা তাদের সারা জীবনের রাজনৈতিক কথোপকথনের একটি বড় অংশ জুড়ে ছিল। তাইওয়ানে দুটি প্রধান রাজনৈতিক দল রয়েছে এবং তাদের চীনের প্রতি ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে।
কুওমিনতাং (কেএমটি), রক্ষণশীল একটি দল। ঐতিহ্যগতভাবে চীনপন্থী “ঘুঘু” হিসাবে দেখা হয় এই দলকে। তারা চীনের সাথে অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততার পক্ষে এবং একীকরণের পক্ষে বলে মনে করা হয়, যদিও তারা দৃঢ়ভাবে চীনপন্থী হওয়াকে অস্বীকার করেছে।
তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হল গভর্নিং ডেমোক্রেটিক পিপলস পার্টি (ডিপিপি) যার নেতা সাই ইং-ওয়েন ২০২০ সালের জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভ করেছিলেন। মিসেস সাই চীনের প্রতি শক্ত অবস্থান নিয়েছেন, বলেছেন বেইজিংকে তাইওয়ানকে সম্মান দেখানো দরকার এবং তাইপে চাপের কাছে মাথা নত করবে না।