বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে ৯ হাজার কারী হাউজ
জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারণে বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে ৯ হাজার কারি হাউস। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে ব্রিটেনের প্রতিদিন একটি করে কারী হাউজ বন্ধ হবে।
আর এর প্রধান কারণ হচ্ছে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি, এনার্জি বিল। এছাড়াও স্টাফ সমস্যা তো রয়েছেই।
যুক্তরাজ্যের ৯ হাজার রেস্তোরাঁ অর্থনীতিতে £3.6 বিলিয়ন মূল্যের অবদান রাখে। কিন্তু বর্তমানে রেস্টুরেন্টগুলো চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন মালিকেরা। এ পর্যন্ত প্রায় ৩০ ভাগ বেশী পণ্যের দাম বেড়েছে যদিও বাড়েনি কাস্টমার বা ব্যবসা। বর্তমান এনার্জির যে দাম বেড়েছে তা পরিমাণে ৩ গুণ।
মূলধারার পত্রিকা দা মিরর রিপোর্ট করেছে যে ২০০৭ সাল থেকে চারটি কারি রেস্তোরাঁর মধ্যে একটি বন্ধ হয়ে গেছে এবং বাকিরা লড়াই করে চলছে। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন নূন্যতম একটি করে রেস্টুরেন্ট বন্ধ হচ্ছে।
পণ্যের দাম বাড়লেও মেন্যূতে দাম বাড়ালে কাস্টমার অভিযোগ করছে। বর্তমানে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ- গত দশ বছরে প্রতি ব্যাগের দাম ৭ পাউন্ড থেকে ১৪ পাউন্ডে যাচ্ছে, যখন রান্নার তেল ২০১২ সালে ২০ লিটারের জন্য ১৯ পাউন্ড বর্তমানে বেড়ে ৩৩ পাউন্ডে পৌঁছেছে। আর তাই অনেকেই মেন্যু প্রাইসিংয়ের দিকে কোন নজর না দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। মুনাফা চোখে না দেখে লস দিয়েই বন্ধ করে দিচ্ছেন প্রিয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি।
তাছাড়া স্টাফ সংকটের কারণেও অনেকেই ব্যবসা পরিচালনা করতে পারছেন না। ভিসার উপর কঠোর বিধিনিষেধের কারণে বাইরে থেকে প্রতিভাবান শেফ নিয়ে আসতে সংগ্রাম করতে হচ্ছে।
ইউকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে জীবনযাত্রার মান এবং ব্যয় করার ক্ষমতার সবচেয়ে বড় পতনের সম্মুখীন হচ্ছে, ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার জন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছে। এরপরেও আশানুরূপ কোন সাড়া পাচ্ছেন না তারা।