বিশিষ্ট সাংবাদিক সিলেট মিররের সম্পাদক আহমেদ নূর বলেছেন, যেকোনো উৎসব মানুষকে উদার করে। তিনি আরো বলেছেন যেকোনো ধর্মীয় উৎসব পালনে মানুষের হৃদয় উদারতার সৃষ্টি হয়।
জ্যোতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সিলেটে প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত শারদ সম্মিলন উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন। শারদ সম্মিলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আহমেদ নূর আরো বলেছেন শারদ উৎসব মানেই শরৎ কালীন দূর্গোতসবকে বুঝায়। এই উৎসব শেষ হওয়ার পর সকল ধর্ম, বর্নের মানুষ মিলে এই ধরনের সম্মেলন সম্প্রীতির বাংলাদেশের ই বার্তা বহন করে। এসময় তিনি শারদ সম্মিলনের আয়োজক বৃন্দকে এই ধরনের অভিনব আয়োজন করায় বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
জ্যোতি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবী নিরঞ্জন চন্দ্র চন্দের সভাপতিত্বে ও সঞ্জয় কুমার নাথের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট লেখক ও শিক্ষাবিদ প্রফেসর হারুনুর রশীদ।
এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক হিমাদ্রী শেখর রায়, বিশিষ্ট গল্পকার ও সাবেক জেলা শিশু সংগঠক জামান মাহবুব, বিশিষ্ট সমাজসেবী জ্যোতির্ময় সিংহ মজুমদার চন্দন, বিশিষ্ট কবি ও লেখক পুলিন রায়, বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও কবি একে শেরাম ও ছড়াকার অজিত রায় ভজন।
এসময় বক্তারা বলেছেন, শারদ সম্মিলন করার মত ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ বর্তমান সমাজে বিরল । ডিজিটাল যুগের কর্মব্যস্ত সময়ে এই ধরনের সামাজিক উদ্যোগ পারস্পরিক সম্পর্ক ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধি করবে।
এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়ায় জ্যোতি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান নিরঞ্জন চন্দ্র চন্দকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান বক্তারা।
এসময় অনেকের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন কবি ও সাংবাদিক হৃষিকেশ রায় শংকর, নাট্যকার বাবুল আহমেদ, কবি সুমন বনিক, কবি ও লেখক ধ্রুব গৌতম, কবি ও লেখক অমিতা বর্দ্ধন, কবি সন্তোষ রঞ্জন পাল, কবি শহীদুল ইসলাম,কবি উত্তম কুমার চৌধুরী, কবি মাসুমা সিদ্দিকা রুহি, বিনয় ভূষন তালুকদার, জ্যোতি মোহন বিশ্বাস সহ আরো অনেকে। অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বে অংশগ্রহণ করেন প্রদীপ দে ও তার দল।