জনপ্রিয় স্টান্ট রাইডার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর আরএস ফাহিম চৌধুরী স্থায়ীভাবে দেশ ছেড়ে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটি কোনো স্বল্পমেয়াদি সফর নয়, বরং এক ধরনের আত্মনিয়ম imposed বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত বলেই মনে করছেন তার অনুসারীরা।
গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে একাধিক বিতর্কের জেরে কিছুটা আড়ালে চলে যান ফাহিম। যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি সক্রিয় ছিলেন, তবে তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নানা গুঞ্জন ছড়ায়। এসবের মধ্যেই এবার তার মালয়েশিয়া যাত্রার বিষয়টি নিশ্চিত হলো।
ফাহিমের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ এবং স্টোরিগুলোতে দেশ ছাড়ার স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। ১৯ ঘণ্টা আগে এক আবেগঘন ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন:
“জীবনে চলার পথে কেউ কষ্ট দেবে, কেউ বেইমানি করবে, কেউ বিশ্বাসঘাতকতা করবে, ভালোবাসার নামে অভিনয় করবে, বন্ধুত্বের নামে ব্যবহার করবে — হ্যাঁ, এটাই নিয়ম। যত তাড়াতাড়ি বুঝতে পারবেন, তত ভালো থাকতে পারবেন।”
পোস্টটির সঙ্গে যুক্ত ভালোবাসার ইমোজি তা আরও আবেগঘন করে তোলে।
তার স্টোরিগুলোতে দেখা যায়, প্রথমে সন্তানকে আদর করছেন ফাহিম। এরপর স্ত্রী মানজিয়া ও সন্তানের সঙ্গে গাড়িতে তোলা একটি ছবিতে তিনি লেখেন, “আমি আপনাদের মিস করব।” এক ভিডিওতে দেখা যায়, বিমানবন্দরে পরিবার ও ঘনিষ্ঠজনদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছেন তিনি। ক্যাপশনে উল্লেখ করেন, “এটাই হয়তো সবার সঙ্গে আমার শেষ দেখা।”
পরে মালয়েশিয়ায় পৌঁছানোর পর স্টোরিতে নতুন বাসা, গাড়ি ও রাতের শুভেচ্ছাসহ নতুন জীবনের শুরু জানান দেন তিনি।
উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে জন্ম নেওয়া ফাহিম বড় হয়েছেন ঢাকার মোহাম্মদপুরে। সাইকেল স্টান্ট ভিডিও দিয়ে তার অনলাইন যাত্রা শুরু হলেও, ২০১৫ সালে ইউটিউব চ্যানেল খোলার পর থেকেই তিনি দেশের জনপ্রিয় বাইকার ও কনটেন্ট নির্মাতাদের একজন হয়ে ওঠেন।
তার হঠাৎ দেশ ছাড়ার ঘটনায় ভক্তদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ তার নতুন জীবনের জন্য শুভকামনা জানালেও অনেকেই জানতে চাচ্ছেন—ফাহিম কি মালয়েশিয়ায় বসেই কনটেন্ট নির্মাণ চালিয়ে যাবেন, নাকি নতুন কোনো পেশায় যুক্ত হবেন?