বাংলাদেশের অন্যতম বড় শ্রমবাজার মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো বারবার সিন্ডিকেটের কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
-
২০১৮ সালে এই বাজার বন্ধ হয়।
-
পরে ২০২২ সালে আবার খুললেও রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর সিন্ডিকেট ও দুর্নীতির কারণে ২০২৪ সালের ৩১ মে থেকে আবার বন্ধ হতে চলেছে।
কীভাবে সিন্ডিকেট কাজ করেছে?
-
সরকার নির্ধারিত খরচ ছিল ৭৯ হাজার টাকা, কিন্তু প্রতি কর্মীর কাছ থেকে ৫ লাখ টাকার বেশি নেয়া হয়েছে।
-
যেখানে ৫০ জন কর্মীর দরকার, সেখানে ৫০০ জন পাঠানো হয়েছে, ফলে অনেকে গিয়ে কাজ না পেয়ে কষ্টে আছেন।
-
একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, ১০০টি এজেন্সি দেড় বছরে ২৪ হাজার কোটি টাকা লুটে নিয়েছে।
-
এই চক্রে সাবেক চার এমপি ও মন্ত্রীর জড়িত থাকার অভিযোগে দুদক মামলা করেছে।
সিন্ডিকেটের মূল হোতারা
-
মালয়েশিয়ায়: আমিনুল ইসলাম আবদুন নুর
-
বাংলাদেশে: রুহুল আমিন স্বপন (বর্তমানে দেশত্যাগ করেছেন)
বর্তমান পদক্ষেপ ও দাবি
-
বায়রা (BAIRA) চাইছে, সব বৈধ এজেন্সির জন্য খোলা বাজার এবং কম খরচে প্রবাসী পাঠানোর সুযোগ।
-
তারা দাবি তুলেছে, সিন্ডিকেট ভেঙে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হোক এবং
-
দুর্নীতিগ্রস্ত সফটওয়্যার বাতিল করে নতুন স্বচ্ছ প্রক্রিয়া চালু করা হোক।
অভিবাসনে বড় সমস্যা
-
অধিকাংশ মানুষ প্রবাসে যেতে ঋণ করে।
-
৫৮% প্রবাসী ঋণ নিয়ে বিদেশে যান, যা তাদের আর্থিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে।
-
আবার অনেকেই ফিরে আসছেন—১৩.১৫% মালয়েশিয়া থেকে স্থায়ীভাবে দেশে ফিরেছেন।