বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের হ্যাঙ্গারে সংরক্ষিত ১০টি পরিত্যক্ত (অকেজো) টায়ার খোয়া গেছে। এ ঘটনায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন বিমানের সহকারী ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) মোশারেফ হোসেন।
জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গার কমপ্লেক্সের পাশে অকশন শেডে রাখা আনসার্ভিসেবল টায়ারগুলো পাওয়া যায়নি। পরে অনুসন্ধানে জানা যায়, বিমানের নিজস্ব দুই কর্মকর্তা—সুপারভাইজার আরমান হোসেন ও স্টোর হেলপার সামসুল হক—সেগুলো ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের একজন কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করেছেন, অথচ এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে কোনোভাবে অবহিত করা হয়নি।
বিমানের একাধিক কর্মকর্তা মনে করছেন, এটি পরিকল্পিত চুরির ঘটনা এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ভেতরের একটি চক্র এতে জড়িত থাকতে পারে। ইতোমধ্যে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে বিমানের মহাব্যবস্থাপক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এ বি এম রওশন কবীর বলেন, পরিত্যক্ত টায়ারগুলো নিলামে তোলার জন্য হ্যাঙ্গারে রাখা হয়েছিল। কিন্তু দুই কর্মী অনুমোদন না নিয়ে তা ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের এক কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করেন এবং পরবর্তীতে সেখান থেকে ৬টি টায়ার ফেরত আনা হয়। বিষয়টি ধরা পড়ার পরই থানায় জিডি করা হয়েছে। তদন্ত শেষে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে, ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের উপমহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, “বিমানের পরিত্যক্ত টায়ার আমাদের কোনো কাজে লাগে না। আমাদের বহরে যে ধরনের উড়োজাহাজ রয়েছে (এটিআর, এয়ারবাস, বোয়িং ৭৩৭), তাতে বিমানের বোয়িং ৭৭৭-এর টায়ার ব্যবহারযোগ্য নয়। কাজেই এসব টায়ার নিয়ে ইউএস বাংলার কিছু করার নেই।”