লেবার পার্টিতে অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন দলনেতা কিয়্যার স্টারমার। সরকারের নীতির বিরোধিতা করে ভোট দেওয়ায় চারজন এমপিকে দলীয় হুইপ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এই চারজন হলেন—র্যাচেল মাস্কেল, নেইল ডানকান-জর্ডান, ব্রায়ান লেইশম্যান ও ক্রিস হিঞ্চলিফ।
তারা সরকারের কল্যাণ নীতির সমালোচনা করেছিলেন এবং প্রতিবন্ধী সুবিধা ও শীতকালীন জ্বালানি ভাতা কমানোর বিপক্ষে অবস্থান নেন। পরিবেশবিরোধী একটি বিলের বিরুদ্ধেও হিঞ্চলিফ নেতৃত্ব দেন।
একইসঙ্গে, তিনজন এমপি—রোসেনা অলিন-খান, বেল রিবেইরো-অ্যাডি ও মোহাম্মদ ইয়াসিন—বাণিজ্য দূতের পদ হারিয়েছেন। তাদের কেউ কেউ মাত্র একবার বিদ্রোহ করেছিলেন।
এই সিদ্ধান্তে অনেক লেবার ব্যাকবেঞ্চার ক্ষুব্ধ। এক বামপন্থী এমপি অভিযোগ করেন, এতে “ভয়ের পরিবেশ” সৃষ্টি করা হচ্ছে। মাস্কেল বলেন, “আমি আমার এলাকার জনগণের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলাম, তাই শাস্তি পেলাম।” হিঞ্চলিফ জানান, তিনি লেবার এমপি হিসেবে মানুষের পক্ষে লড়াই চালিয়ে যাবেন।
বহিষ্কৃতদের মধ্যে তিনজনই নতুন এমপি, যারা ২০২৪ সালে প্রথমবার নির্বাচিত হন এবং আগে লেবার দলীয় আসনে জেতেননি।
এর আগেও, দুই সন্তান সীমা বিলের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ায় স্টারমার সাতজন এমপির হুইপ প্রত্যাহার করেছিলেন। তাদের বেশিরভাগই ছিলেন করবিনপন্থী।
এই ঘটনার পর দলের ভেতরে উত্তেজনা বেড়েছে। পার্টি চেয়্যার জেসিকা মরডেন হুইপ প্রত্যাহারের পরপরই এমপিদের ‘শুভ ছুটি’ কামনা করে ইমেইল পাঠান, যা অনেককে বিরক্ত করেছে।
ফায়ার ব্রিগেডস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক স্টিভ রাইট এই ঘটনাকে “কঠোর ও বিপজ্জনক” পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছেন।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান