যুক্তরাজ্যে রাশিয়া ও ইরানের রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দারা অনলাইনে শিশু-কিশোরদের প্রভাবিত করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে বলে সতর্ক করেছে স্কটল্যান্ড ইয়ार्ड। এই শত্রু রাষ্ট্রগুলো ব্রিটিশ তরুণদের ‘প্রক্সি’ হিসেবে হামলা ও ধ্বংসাত্মক কাজ করাতে চায়।
সন্ত্রাস দমন ইউনিটের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার ভিকি ইভানস জানান, ২০১৮ সাল থেকে এ ধরনের রাষ্ট্র-সমর্থিত হুমকি পাঁচ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কিশোরদের সঙ্গে গোপনে সংযোগ স্থাপন করে ধীরে ধীরে সহিংস কাজে যুক্ত করা হচ্ছে।
এক মধ্যবয়সী কিশোরকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, সন্ত্রাসবিরোধী পুলিশের এক-পঞ্চমাংশ সম্পদ এখন রাষ্ট্র-সমর্থিত অপরাধ মোকাবেলায় ব্যয় হচ্ছে।
একটি আলোচিত মামলায় ব্রিটিশ মাদক ব্যবসায়ী ডিলান আর্লকে রাশিয়ার ওয়াগনার গ্রুপের নির্দেশে লন্ডনের একটি গুদামে আগুন দেয়ার ষড়যন্ত্রের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
কমান্ডার ডমিনিক মারফি বলেন, “ইরান এখনো যুক্তরাজ্যে নাগরিকদের ওপর সরাসরি শারীরিক হুমকি তৈরি করছে।” এমআই৫ প্রধান কেন ম্যাককালাম জানিয়েছেন, ২০২২ সাল থেকে ২০টি ইরান-সমর্থিত হামলার পরিকল্পনা আটকানো হয়েছে।
বর্তমানে চীন, রাশিয়া ও ইরানকে যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই বিপদ রোধে সরকার ‘ফরেন ইনফ্লুয়েন্স রেজিস্ট্রেশন স্কিম’ চালু করেছে, যেখানে বিদেশি প্রভাব বিস্তারকারীদের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইন ছাড়া সামাজিক সচেতনতা ও প্রযুক্তির উন্নত ব্যবস্থাও প্রয়োজন।