সেভেরোদোনেতস্ক-লিসিচানস্ক এখন মৃত শহর: জেলেনস্কি
রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর হামলায় ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ডনবাস অঞ্চলের সেভেরোদোনেতস্ক ও লিসিচানস্ক শহর ‘মৃত শহরে’ পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এছাড়া সেভেরোদোনেতস্ক শহরে ইউক্রেনীয় যোদ্ধাদের চেয়ে রুশ সেনাদের সংখ্যা বেশি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৭ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। এছাড়া সোমবার সেখানে ব্যাপকভাবে কামানের গোলাবর্ষণ করা হয় এবং শহরের রাস্তায় রাস্তায় উভয়পক্ষের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ হয়।
সিভার্সকি ডোনেটস নদীর ওপাড়ে অবস্থিত লাইসিচানস্কিতে ফ্রন্টলাইন পরিদর্শনের একদিন পর জেলেনস্কি সাংবাদকদের বলেন, ‘আমরা মূল শহর ধরে রেখেছি’ তবে এদের মধ্যে আরো অনেক আছে, যারা আরো শক্তিশালী’।
এদিকে মস্কোতে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের বিমানের ওভারফ্লাইট অধিকার অস্বীকার করায় তিনি ইউরোপীয় দেশগুলোর সমালোচনা করেছেন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ব্যবসায়িক বৃত্তের অন্যতম ধনকুবের আব্রামোভিচের মালিকানাধীন দুটি বিমান বজেয়াপ্ত করার জন্য ওয়াশিংটনের নির্দেশের পর পুতিন আমেরিকান কর্মকর্তাদের তার দেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার তালিকা আরো বাড়িয়েছেন।
জেলেনস্কির পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বিশ্ববাজারে খাদ্য সরবরাহ কঠোর করার বিষয়ে সোমবার সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এটি ‘ব্ল্যাকমেল’ করার একটি রুশ কৌশল।
ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘ওডেসা বন্দরের কাছে কোথাও গুদামে প্রায় ২০ মিলিয়ন টন গম আটকে আছে এবং সত্যিকার অর্থে শস্য ভর্তি জাহাজ রাশিয়ান অবরোধের কারণে ওডেসা বন্দরে আটকে আছে।’
যুদ্ধ নিয়ে উভয় পক্ষে বাক-বিতন্ডা বেড়েছে, যুদ্ধের চতুর্থ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের পর ব্রিটেন ইউক্রেনে দীর্ঘপাল্লার ভ্রাম্যমান মিসাইল লঞ্চার সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছে, যা রাশিয়ার ফায়ার পাওয়ারের বিরুদ্ধে কিয়েভের লড়াই করার সক্ষমতা আরো বাড়াবে।
বৃটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় বলেছে, তারা ট্রাকে স্থাপিত এম-২৭০ মাল্টিপল আর্টিলারি ইউনিট সরবরাহ করবে, যা ৮০ কিলোমিটার (৫০ মাইল) দূরের লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে নির্দেশিত রকেটের সাহায্যে আঘাত হানতে পারবে।
পুতিন পশ্চিমাদের সতর্ক করে বলেছেন, তারা যদি এই ধরণের অস্ত্র কিয়েভকে সরবরাহ করে তাহলে মস্কো ইউক্রেনের নতুন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানবে, কিন্তু কোন লক্ষ্যবস্তু তা নির্দিষ্ট করে বলেনি।
যুদ্ধে দনবাস ফ্রন্টে ভারী আর্টিলারি হামলা বিশেষত লুগানস্ক ওব্লাস্টেও বৃহত্তম শহর সেভেরোদোনেটস্ক হামলা কেন্দ্রীভূত ছিল, যা এখনো রাশিয়ার নিয়ন্ত্রনে আসেনি।