সাংবাদিক শিরিনের ‘দুর্ঘটনাবশত’ গুলি লাগে, স্বীকার করছে ইসরায়েল
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী প্রথমবারের মতো স্বীকার করলো যে তাদের একজন সেনা সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহকে ‘জঙ্গি’ ভেবে গুলি করেন। এ ঘটনাকে দুর্ঘটনা বশত হামলা বলে মন্তব্য করেছে ইসরায়েল। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে সেনাবাহিনী জড়িত থাকার বিষয়টিকে ‘অধিক সম্ভাবনা’ বলে জানিয়েছে দেশটি। তবে এ ঘটনায় ইসরায়েল কোনো অপরাধ মূলক তদন্ত করবে না বলেও ঘোষণা দিয়েছে। খবর আল জাজিরা’র
আবু আকলেহ নিহত হওয়ার দীর্ঘ সময় পর সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ তদন্তের ফলাফল তুলে ধরে। এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায়, আল জাজিরা, জাতিসংঘ এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তদন্তে উঠে আসে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী আবু আকলেহকে গুলি করে হত্যা করে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) বন্দুকের গুলিতে ‘দুর্ঘটনাবশত’ আবু আকলেহ শিরিন আঘাত পেয়েছিলেন। কিন্তু সশস্ত্র ফিলিস্তিনি বন্দুকধারী হিসাবে চিহ্নিত সন্দেহভাজনদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছিল সেদিন।
“এটা বলা সম্ভব হচ্ছে না ঠিক কোন গুলিতে শিরিন আবু আকলেহ নিহত হয়েছেন। তবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র বাহিনীর গুলিতেও শিরিন আবু আকলেহ’র মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”
প্রতিবেদন প্রকাশের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ইসরায়েলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সেখানে তারা জানান, ওই সৈন্যের সঙ্গে তারা কথা বলেছেন, যদি সে এ কাজ করে থাকে তাহলে সে ভুল করেছে।
গত ১১ মে পশ্চিম তীরের উত্তরে ইসরায়েল সেনাবাহিনীর অভিযান কভার করার সময় গুলিবিদ্ধ হন ৫১ বছর বয়সী আবু আকলেহ। গুলিতে ঘটনাস্থলে নিহত হয় সে। তিনি একাধারে ফিলিস্তিনি ও মার্কিন নাগরিক ছিলেন।