মন্দার ঝুঁকির মধ্যেই কমেছে যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি
মন্দার ঝুঁকির মধ্যেই যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমেছে। চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে, যা শেষ হয়েছে সেপ্টেম্বরে, দেশটির নিম্নমুখী প্রবৃদ্ধি সামনে এসেছে। এতে যুক্তরাজ্যের নতুন অর্থমন্ত্রী জেরেমি হান্টের ওপর চাপ বাড়ছে। কারণ শুল্ক বাড়ানো ও ব্যয় কমানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। শুক্রবার (১১ নভেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রকাশিত পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, তৃতীয় প্রান্তিকে অর্থনৈতিক আউটপুট কমেছে শূন্য দশমিক দুই শতাংশ।
২০২১ সাল শুরু হওয়ার পর এই প্রথম যুক্তরাজ্যের জিডিপিতে পতন দেখা গেলো। সে সময় দেশটিতে করোনার কঠোর বিধিনিষেধ জারি ছিল। বর্তমান পরিস্থিতির কারণে যুক্তরাজ্যে পরিবার ও ব্যবসা-বাণিজ্য ব্যাপক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
তাছাড়া দেশটির অর্থনীতির আকার বর্তমানে করোনার আগের চেয়ে অনেক কমেছে। এটিই একমাত্র গ্রুপ অব সেভেন ইকোনমি, যেটি এখনো করোনার মন্দা থেকে পুরোপুরি পুনরুদ্ধার করতে পারেনি।
রেজল্যুশন ফাউন্ডেশন থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক জানিয়েছে, বর্তমানে প্রবৃদ্ধি যেভাবে কমেছে তা অবশ্য বিনিয়োগকারীদের ধারণার চেয়ে কম।
এর আগে যুক্তরাজ্যের ৫৭তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করলেন কনজারভেটিভ নেতা ঋষি সুনাক। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) বাকিংহাম প্যালেসে রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নতুন সরকারপ্রধানের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তিনি। তারও আগে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস রাজার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার পদত্যাগপত্র জমা দেন।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হয়ে রেকর্ড বইয়ের পাতা এলোমেলো করে দিয়েছেন ঋষি সুনাক। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার তথ্যমতে, প্রথম অশ্বেতাঙ্গ, প্রথম এশীয় বংশোদ্ভূত এবং প্রথম হিন্দু ধর্মাবলম্বী নেতা হিসেবে যুক্তরাজ্য শাসন করবেন ঋষি। এছাড়া, বিগত ২০০ বছরের মধ্যে দেশটির কনিষ্ঠতম প্রধানমন্ত্রীও হয়েছেন ঋষি।