কাতার বিশ্বকাপ: ৭৫০ কোটি ডলার আয় ফিফার
কাতার বিশ্বকাপকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা, বিতর্কের শেষ নেই, তবে সবকিছু ছাপিয়ে এ বিশ্বকাপ থেকে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা আয় করে নিয়েছে ৭.৫ বিলিয়ন বা ৭৫০ কোটি ডলার। চার বছরের জন্য করা বাণিজ্যিক চুক্তিগুলো থেকে এ অর্থ পাবে ফিফা। ২০০টিরও বেশি দেশের কর্মকর্তাদের কাছে রোববার এ তথ্য প্রকাশ করেছে ফিফা।
সংস্থাটি জানায়, রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত ২০১৮ সালের বিশ্বকাপের চেয়ে ১০০ কোটি ডলার বেশি আয় হয়েছে কাতার বিশ্বকাপ থেকে।
রোববার শুরু হওয়া বিশ্বকাপের শীর্ষ পর্যায়ের স্পন্সর হলো কাতার এনার্জি। নতুন তৃতীয় স্তরের স্পন্সরদের মধ্যে রয়েছে কাতারি ব্যাংক কিউএনবি এবং টেলিকমিউনিকেশন ফার্ম ওরেডু।
এ ছাড়া আর্থিক প্ল্যাটফর্ম ক্রিপ্টো ডটকমের মতো তৃতীয় সারির স্পন্সরদের সঙ্গেও চুক্তি করেছে ফিফা।
কাতার বিশ্বকাপের সম্প্রচার চুক্তি হয়েছিল সেপ ব্লাটার ফিফার সভাপতি থাকার সময়। ওই সময় যুক্তরাষ্ট্রের ফক্স ও কাতারের বিইআইএন স্পোর্টসের সঙ্গে চুক্তি হয় ফিফার।
এত সব আয় থেকে কাতার বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দলগুলো সব মিলিয়ে ৪৪০ মিলিয়ন বা ৪৪ কোটি ডলার পুরস্কার পাবে। এর মধ্যে চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ৪৪ মিলিয়ন বা ৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
ফিফা প্রতিটি বিশ্বকাপকে ঘিরে চার বছরের চক্রে হিসাব করে থাকে। রাশিয়া বিশ্বকাপ পর্যন্ত ২০১৫-১৮ চক্রের মধ্যে ফিফার গভর্নিং বডি ৬.৪ বিলিয়ন (৬৪০ কোটি) ডলার আয় করেছে। ২০২০ সালে করোনা শুরু হলে জাতীয় দলের ফুটবল এবং বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের খেলাগুলো প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সে সময় সদস্য দেশগুলোকে নগদ অর্থও দিয়েছিল ফিফা।