কক্সবাজারের ঝিলংজা এলাকায় সন্ত্রাসী হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবদল নেতা মোহাম্মদ ফারুক (৩৪) মারা গেছেন। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ভোরে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর রাতে কক্সবাজার শহরের বাইপাস সড়কে মোটরসাইকেলে করে আসা হেলমেট পরা সন্ত্রাসীরা ফারুককে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
নিহত মোহাম্মদ ফারুক কক্সবাজার বৃহত্তর বাস টার্মিনাল যুবদল ইউনিটের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মৃত্যুর আগে তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
ফারুকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার জেলা যুবদলের সহদপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিয়াজি জানান, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ফারুক। একই ঘটনায় আহত যুবদল নেতা সাইফুল ইসলাম বর্তমানে চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় জড়িত কয়েকজনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং জেলা যুবদল এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছমিউদ্দিন জানান, রোববার বিকেলে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ফারুকের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে এবং পরে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় জড়িত খুনি চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, ৯ ডিসেম্বর রাতে ঝিলংজা এলাকার উত্তরণ আবাসিক এলাকার প্রধান সড়কে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ‘বাবু বাহিনী’র হামলার শিকার হন ফারুক ও সাইফুল ইসলাম। গুলিতে আহত হওয়ার পর তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ফারুকের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।