চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক শিক্ষার্থীর ওপর স্থানীয়দের হামলার প্রতিবাদে প্রধান ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাত ২টার দিকে প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার সকাল থেকে তাঁরা ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের কাছে কয়েকটি দাবি উপস্থাপন করেন। দাবিগুলোর মধ্যে ছিল—সিএনজি অটোরিকশা চালকদের জন্য আইডি কার্ড বাধ্যতামূলক করা, নির্ধারিত ভাড়া নিশ্চিত করা, চক্রাকার বাস চালু এবং হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।
হামলার শিকার শিক্ষার্থী সুলতানুল আরেফিন, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী, জানান, তিনি বাইকে করে বাসায় ফেরার সময় রেলক্রসিং এলাকায় জ্যামে এক সিএনজি তার পায়ে উঠে যায়। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে আশপাশের কিছু স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে তাকে মারধর করে। তিনি বলেন, “বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে তারা আমার বাইকে বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো দেখে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং হামলা চালায়।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন ঘটনাটিকে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ উল্লেখ করে বলেন, “দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিএনজি চালকদের আইডি কার্ড বাধ্যতামূলক করা এবং অবৈধ যানবাহন নিষিদ্ধ করার বিষয়ে কাজ চলছে। চক্রাকার বাস চালুর জন্য ইউজিসির কাছে বাজেট চাওয়া হয়েছে এবং ইতিমধ্যে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে।”
পরে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সিএনজি-রিকশা মালিক সমিতির মধ্যে এক সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার আশ্বাস দিলে সকাল সাড়ে ১১টায় শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটকের তালা খুলে দেন।