নওগাঁর পোরশা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক ডাকাতির ঘটনায় চরম আতঙ্কে রয়েছেন সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা। প্রায় প্রতিরাতে সড়কে গাছ ফেলে যানবাহন থামিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করে সর্বস্ব লুটে নিচ্ছে ডাকাত দল। বাজারের দোকানপাটও নিরাপদ নয়।
স্থানীয়রা বলছেন, পুলিশের টহল ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল থাকায় ডাকাতরা লাগাতার তাণ্ডব চালাচ্ছে। এর ফলে রাত হলেই এলাকা জনশূন্য হয়ে পড়ে।
১৫ অক্টোবর রাতে সারাইগাছী-আড্ডা সড়কের মোশানতলা মোড় থেকে বন্ধুপাড়া মোড় পর্যন্ত তিনটি স্থানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতরা গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করে যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ অর্থ, মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিস লুট করে নেয়।
একই রাতে বেজোড়া মোড়ে তিনজন নৈশপ্রহরীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ১৮টি দোকান লুট করা হয়। এর আগে ১২ অক্টোবরও একই এলাকায় ডাকাতি হয়। সেদিন অন্তত ২০ জন আহত হন।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির, রাজিবুল হাসান ও জাকারিয়া বলেন, নিয়মিত ডাকাতি হলেও প্রশাসনের দৃশ্যমান ভূমিকা নেই। পুলিশের অবস্থান কাছাকাছি থাকা সত্ত্বেও তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায় অনেক পরে।
তাঁতিপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন জানান, দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার সময় ডাকাতরা তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মারধর করে এবং তার কাছ থেকে ৪২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
পোরশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিন্টু রহমান বলেন, “কয়েকটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। তথ্য সংগ্রহ করে অভিযানে নেমেছি। দোষীদের গ্রেপ্তারে কাজ চলছে।”
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার জানান, ডাকাতি ঠেকাতে এলাকায় বিশেষ টহল ও চেকপোস্ট কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।
অবিলম্বে রাত্রীকালীন টহল বাড়ানো ও সড়কে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তাদের মতে, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে ডাকাতদের সাহস আরও বাড়বে।