দুই বছর ধরে শয্যাশায়ী ছিলেন ৬৫ বছরের চনথিরোট নামের এক থাই নারী। গত রোববার হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়লে তার পরিবার ধরে নেয়—তিনি আর বেঁচে নেই। নিয়মমতো তাকে কফিনে শায়িত করা হয় এবং অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য চার ঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত ব্যাংককের কাছের একটি মন্দিরে নেওয়া হয়।
মন্দিরে কফিন নামানোর ঠিক সেই মুহূর্তেই ঘটে অবিশ্বাস্য ঘটনা। अचानक কফিনের ভেতর থেকে ক্ষীণ শব্দ শুনতে পান উপস্থিত সবাই। তাৎক্ষণিকভাবে কফিন খুলে দেখেন—চনথিরোট জীবিত! তিনি কাঁপছেন এবং মুখের সামনে উড়তে থাকা মাছি তাড়ানোর চেষ্টা করছেন।
এই দৃশ্য দেখে হতভম্ব হয়ে যান পরিবার ও উপস্থিত সবাই। ঘটনাটি ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা হলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
জানা গেছে, মন্দিরটিতে দরিদ্র মানুষের বিনামূল্যে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার ব্যবস্থা থাকে। চনথিরোটের পরিবার ইতোমধ্যে মৃত্যুর নথিও সংগ্রহ করেছিল। তবে তাকে আবার জীবিত দেখে আবেগে ভেঙে পড়েন তার ভাই মঙ্গকোল। তিনি জানান, বোনকে ফিরে পাওয়া তাদের জন্য এক অলৌকিক আশীর্বাদ।