চুয়াডাঙ্গায় পুলিশের বাৎসরিক মাস্কেট্রি অনুশীলনের গুলি গিয়ে লাগল চলন্ত মোটরসাইকেল আরোহী বাবুর (৩১) দেহে। রোববার (১১ ডিসেম্বর) সকালে সদর উপজেলার হায়দারপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় প্রথমে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহত বাবু চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাতগাড়ি এলাকার আব্দুল হামিদের ছেলে এবং পেশায় পারটেক্স মিস্ত্রি।
জেলা পুলিশ জানায়, ৯, ১০ ও ১১ ডিসেম্বর সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৬ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন (ডিঙ্গেদাহ) ফায়ারিং রেঞ্জে জেলা পুলিশের মাস্কেট্রি অনুশীলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রেঞ্জের পেছনে ও আশপাশের তিন কিলোমিটার এলাকার বাসিন্দাদের সতর্কতার সঙ্গে চলাচলের জন্য বলা হয়েছিল।
তবে আহতের খালাতো ভাই রাশেদ দাবি করেন, “কোনো মাইকিং বা আগাম সতর্কতা ছাড়াই অনুশীলন চলছিল। পাঁচ বছর আগে এখানেই এক নারী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। আজ আমার ভাই মোটরসাইকেলে যাওয়ার সময় গুলি লাগে। আমরা দাবি করছি, এখানে ফায়ারিং অনুশীলন বন্ধ করা হোক।”
চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফ আহমেদ শিল্পব বলেন, “প্রশাসন ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। ১০-১৫ বছরে তিন-চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, দুজন মারা গেছেন। আজ আবার এক তরুণ গুলিবিদ্ধ হলো। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।”
চুয়াডাঙ্গা বিজিবির নায়েক সুবেদার কামরুল ইসলাম জানান, ৯ থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রেঞ্জটি জেলা পুলিশের জন্য বরাদ্দ ছিল, এবং অনুশীলন চলাকালে বাবুর বুকে গুলি লাগে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি) ডা. এহসানুল হক তন্ময় বলেন, এক্সরে করে দেখা যায় বাবুর বাম পাশে গুলি রয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে রাজশাহীতে রেফার করা হয়েছে। বর্তমানে তার অবস্থা স্থিতিশীল এবং আশঙ্কামুক্ত।
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, “ফায়ারিং অনুশীলনের সময় এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জেনেছি। হাসপাতালে গিয়ে তার অবস্থা দেখে এসেছি। তিনি এখন শঙ্কামুক্ত।”