যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত ইয়ুথ ভয়েস অব বাংলাদেশের সাবেক সদস্যদের নিয়ে এক পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৪ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যের একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ, যুবদল, ছাত্রদল, মহিলা দল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ছিল ইয়ুথ ভয়েস অব বাংলাদেশের যুক্তরাজ্যভিত্তিক সাবেক সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও পুনর্মিলন জোরদার করা এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘ ১৭ বছর পর বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনসহ দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় করা।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক রাষ্ট্রদূত এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান ও ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বাংলাদেশ কার্যত এক ধরনের অভিভাবকহীনতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এ সংকটময় সময়ে দেশের জন্য একমাত্র যোগ্য, গ্রহণযোগ্য ও দায়িত্বশীল নেতৃত্ব দিতে সক্ষম ব্যক্তি হচ্ছেন তারেক রহমান। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ শান্তি, শৃঙ্খলা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার পথে এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইয়ুথ ভয়েস অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার তারেক আকবর খোন্দকার বলেন, বর্তমানে অনলাইনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে পরিকল্পিতভাবে বিভ্রান্তিমূলক ও মিথ্যা প্রচারণা ছড়ানো হচ্ছে। দীর্ঘদিন জনগণ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত থাকার বাস্তবতাকে কাজে লাগিয়ে একটি স্বার্থান্বেষী মহল তরুণ সমাজকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো তথ্য বা কনটেন্ট দেখামাত্রই আবেগের বশে বিশ্বাস করা বা প্রতিক্রিয়া দেখানো উচিত নয়। বরং সচেতনভাবে যাচাই-বাছাই করে বুঝে নিতে হবে কোনটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা তৈরি এবং কোনটি বাস্তব ও বিশ্বাসযোগ্য। এ ধরনের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে তরুণ সমাজসহ সবাইকে সতর্ক, সচেতন ও সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানটি প্রবাসী বাংলাদেশি তরুণদের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা ও ভোটাধিকারের গুরুত্ব তুলে ধরতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে অংশগ্রহণকারীরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।