দীর্ঘ নয় বছর পর বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে ট্রেনের ভাড়া বাড়ানো হচ্ছে। আগামীকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) থেকে নতুন ভাড়া কার্যকর হবে। পন্টেজ চার্জ পুনর্নির্ধারণের ফলে ঢাকা–চট্টগ্রাম, ঢাকা–সিলেট, ঢাকা–কক্সবাজারসহ ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ রুটে যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হবে। তবে সেবার মান অপরিবর্তিত থাকায় এ সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা।
ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ নিয়ে গঠিত রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে ট্রেন ও আসনভেদে সর্বনিম্ন ৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২২৬ টাকা পর্যন্ত ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। ঢাকা–চট্টগ্রাম, ঢাকা–কক্সবাজার, ঢাকা–সিলেট, চট্টগ্রাম–সিলেট, চট্টগ্রাম–জামালপুর ও ঢাকা–দেওয়ানগঞ্জ রুটের মোট ১১টি সেতুতে নতুন করে পন্টেজ চার্জ আরোপ করা হয়েছে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ব্রিটিশ আমল থেকে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী বড় সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় আদায়ে পন্টেজ চার্জ নেওয়া হয়। আগে পূর্বাঞ্চলে সাতটি সেতু এই চার্জের আওতায় থাকলেও এবার আরও ১১টি সেতু যুক্ত হয়েছে। এর ফলে কয়েকটি রুটে দূরত্ব হিসাব বেড়েছে এবং সেই অনুযায়ী ভাড়া সমন্বয় করা হয়েছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান জানান, ১০০ মিটারের বেশি দৈর্ঘ্যের সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় পন্টেজ চার্জ পুনর্গঠন করা হয়েছে। এর ফলে কিছু রুটে ভাড়া বাড়লেও সব রুটে নয়। ২০ ডিসেম্বর থেকে যাত্রা করা যাত্রীদের জন্য নতুন ভাড়া কার্যকর হবে।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. আবু জাফর মজুমদার জানান, নতুন ভাড়ার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ১০ ডিসেম্বর থেকেই যাত্রীরা নতুন দরে অগ্রিম টিকিট কিনতে পারছেন। তবে ২০ ডিসেম্বরের আগে চলাচলকারী ট্রেনে পুরোনো ভাড়াই কার্যকর রয়েছে।
নতুন ভাড়া কার্যকর হলে রেলওয়ের বার্ষিক আয় প্রায় ৪০ কোটি টাকা বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে যাত্রীরা বলছেন, সেবার মান উন্নত না করে ভাড়া বাড়ানো অযৌক্তিক। বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য নতুন ভাড়া বড় চাপ হয়ে দাঁড়াবে বলে তাদের অভিযোগ।
নতুন সিদ্ধান্তে ঢাকা–চট্টগ্রাম ও ঢাকা–কক্সবাজার রুটে ভাড়া সর্বোচ্চ ২১৪ থেকে ২২৬ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ঢাকা–সিলেট, চট্টগ্রাম–সিলেট ও অন্যান্য রুটে ভাড়া বেড়েছে ৫ থেকে ১২৭ টাকার মধ্যে।





