ঢাকা–সিলেট মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি শিকদার মাহমুদ রাজী ও বিচারপতি রাজিউদ্দীন আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ রিট আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে নরসিংদী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ (এলএ) শাখায় দুর্নীতি তদন্তে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না—তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। হাইকোর্ট দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) ৯০ দিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী শিশির মনির। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা–সিলেট মহাসড়কের উন্নয়নকাজ চললেও টানা চার বছরে জমি অধিগ্রহণ শেষ না হওয়ায় প্রকল্পের অগ্রগতি মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
জানা যায়, নরসিংদীর বাসিন্দা মাহাবুবুর রহমান গত ১৯ অক্টোবর দৈনিক যুগান্তরে প্রকাশিত ‘জমি অধিগ্রহণের ৮ কোটি টাকা পেতে ঘুস ১ কোটি’ শীর্ষক প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে রিট আবেদন করেন। বৃহস্পতিবার ওই রিটের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
শিশির মনির বলেন, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার মাধ্যমে দুর্নীতির চিত্র উঠে এলে জবাবদিহি নিশ্চিত করা সহজ হয়। তিনি দুর্নীতিবিরোধী অবস্থান জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
রিটকারী মাহাবুবুর রহমান জানান, ভূমি মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করলেও কমিটির প্রধানের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় নিরপেক্ষ তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০২১ সালে সংশোধিত ডিপিপি অনুমোদনের পর সাত জেলায় মোট ৮ একর ৩০ শতক জমি অধিগ্রহণের তালিকা চূড়ান্ত হয়। ৬৬টি এলএ কেসের মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র ১১টির দখল হস্তান্তর হয়েছে। চার বছরে প্রকল্পের অগ্রগতি মাত্র ১৫ শতাংশ।
নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সিলেট জেলায় জমি অধিগ্রহণের অধিকাংশ প্রস্তাব এখনো ঝুলে আছে। বিশেষ করে সিলেট জেলায় দাখিল হওয়া ১৭টি এলএ প্রস্তাবের একটিরও দখল হস্তান্তর হয়নি।





