রাজশাহীর বাঘায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। আজ বুধবার (২৬ জুন) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন হাসপাতালের আইসিইউ ইনচার্জ ডাক্তার আবু হেনা মোস্তফা কামাল।
গত শনিবার থেকে আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ডান কানের উপরে মাথার খুলি কেটে রক্তক্ষরণ হয়। ওই দিনই মেডিকেল বোর্ড বসিয়ে তাঁর মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়। অপারেশন সফল হলেও গতকাল থেকে তার অবস্থার অবনতি হয় এবং আজ বিকেলে তাঁর মৃত্যু হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুলের মৃত্যুর প্রতিবাদে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন কর্মী-সমর্থকরা। আজ বুধবার বিকেলে পৌরসভা চত্বরে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে বাঘার গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত ২২ জুন মেয়র আক্কাস আলী ও উপজেলা চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন লাভলুর অনুসারীদের সাথে স্থানীয় শাহরিয়ার আলমের অনুসারীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ আধাঘণ্টা ধরে রাবার বুলেট ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এতে উভয় পক্ষের ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়। আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়ছিল।
এঘটনায় নিহতর স্ত্রী বাদী হয়ে বাঘা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে জেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম মেরাজ সহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষের দিন আশরাফুল ইসলাম বাবুলকে কুপিয়ে ফেলে রাখা হয়েছিল। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি আজ মারা গেছেন। মারামারির ঘটনায় যে মামলাটি হয়েছিল, সেই মামলাটিই এখন হত্যা মামলায় রূপ নেবে।
রাজশাহী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. রফিকুল আলম বলেন, তাঁরা সতর্ক অবস্থানে আছেন। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।