দুধ দিয়ে ‘পবিত্র’ হওয়ার নাটকীয় প্রচেষ্টা করেছিলেন, দল থেকেও পদত্যাগ করেন সংবাদ সম্মেলন করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আইনের হাত থেকে রেহাই পেলেন না কুমিল্লার দেবিদ্বারের বিতর্কিত ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা কামরুজ্জামান মাসুদ।
বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে কুমিল্লা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি। তবে বিচারক মোহাম্মদ বেলাল তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ১৭ আগস্ট দুপুরে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের দাবি করে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে দল থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন মাসুদ। এরপর ছাদে উঠে দুধ ঢেলে নিজেকে “পবিত্র” করার চেষ্টা করেন তিনি। এ নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনার ঝড় ওঠে। অনেকে ঘটনাটিকে নাটকীয়তা ও রাজনৈতিক ধোঁকা হিসেবে দেখেন।
দেবিদ্বার থানা পুলিশের তথ্যমতে, কামরুজ্জামান মাসুদের বিরুদ্ধে রয়েছে ৩টি হত্যা মামলা এবং মারামারিসহ একাধিক অভিযোগ।
বিশেষ করে আবদুর রাজ্জাক রুবেল ও স্কুলছাত্র সাব্বির হোসেন হত্যা মামলায় তিনি অভিযুক্ত। এ ছাড়া ফতেহাবাদ ইউনিয়নে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে জুলুম ও নির্যাতনের অভিযোগও তার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের।
দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মঈন উদ্দিন বলেন, “মাসুদের বিরুদ্ধে ৩টি হত্যা মামলা ও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। আদালতের নির্দেশে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।”
মাসুদ ছিলেন ফতেহাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং দেবিদ্বারের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের ঘনিষ্ঠ অনুসারী। তবে সাম্প্রতিক আন্দোলন ও চাপে দল থেকে পদত্যাগ করলেও, তার বহু বছরের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।