মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের ব্যস্ত হোলসেল মার্কেট ‘জিএম প্লাজা’ ও ‘হাজী তাইব হোলসেল সেন্টারে’ সাঁড়াশি অভিযানে ১২৪ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে কুয়ালালামপুর অভিবাসন বিভাগ। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশের ৩৭ জন, পাকিস্তানের ৫৯, মিয়ানমারের ১০, ভারতের ৫, ইন্দোনেশিয়ার ১২ এবং থাইল্যান্ডের ১ জন নাগরিক।
অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার (২৪ নভেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা থেকে ১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুয়ালালামপুর অভিবাসন বিভাগের পরিচালক ওয়ান মোহাম্মদ সওপি ওয়ান ইউসুফ।
তিনি জানান, অভিযান শুরু হতেই কিছু বিদেশি নাগরিক জরুরি সিঁড়ি ও লিফট ব্যবহার করে পালানোর চেষ্টা করেন। তবে শেষ পর্যন্ত তারা সবাই ধরা পড়ে।
অভিযানে অংশ নেয় কুয়ালালামপুর অভিবাসন বিভাগের পাশাপাশি মালয়েশিয়া কোম্পানি কমিশন (এসএসএম), কেপিডিএন এবং কুয়ালালামপুর সিটি হল (ডিবিকেএল)–এর কর্মকর্তারা।
ওয়ান মোহাম্মদ সওপি আরও জানান, অভিযানে মোট ২০৫ জনের কাগজপত্র পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে বৈধ নথি দেখাতে না পারায় ১২৪ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বয়স ২০ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে।
অভিবাসন বিভাগ জানায়, লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা পরিচালনা, বিদেশি কর্মী পাসের অপব্যবহার এবং অবৈধ অভিবাসীদের উপস্থিতির মতো অভিযোগের ভিত্তিতেই এ অভিযান চালানো হয়। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার অভিবাসন আইনের ধারা ৬(১)(সি) ও ১৫(১)(সি) অনুযায়ী মামলা করা হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে এক আটক অভিবাসী দাবি করেন, তিনি শুধু ঘুরতে এসেছিলেন এবং পাসপোর্ট-ভিসা বাসায় ভুলে রেখেছেন। তিনি আরও জানান, তিন মাস আগে একজন এজেন্টকে ৬ হাজার রিঙ্গিতেরও বেশি অর্থ দিয়ে মালয়েশিয়ায় এসেছেন, কিন্তু এখনো বেকার।
অভিযানের অংশ হিসেবে ডিবিকেএল লাইসেন্সবিহীন ব্যবসা পরিচালনা ও বিদেশি শ্রমিক নিয়োগসংক্রান্ত ছয়টি অপরাধে জরিমানা করে এবং একটি প্রতিষ্ঠানে বন্ধের নোটিশ দেয়। অন্যদিকে, কেপিডিএন মূল্য ট্যাগ না রাখা সংক্রান্ত সাতটি অপরাধে সাড়ে ৬ হাজার রিঙ্গিত জরিমানা আরোপ করে। প্রতিষ্ঠানটি আরও ১১৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র যাচাই করে ২৫টি অনিয়ম নথিভুক্ত করেছে, যার শাস্তি ৫০০ থেকে ৩০ হাজার রিঙ্গিত পর্যন্ত হতে পারে।