সিলেটের হাওর-বাওর এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ মিঠাপানির জলাশয় হাকালুকি হাওরসহ দক্ষিণ সুরমার মোমিনখলা এলাকার বগলাজান হাওর, জৈন্তাপুরের লাল শাপলাবিল ইত্যাদিতে অতিথি পাখির আগমনে মুখরিত হয়ে উঠেছে। তবে হাকালুকি হাওর, হাইল হাওর ও বাইক্কা বিলে অবাধে পাখি শিকারের অভিযোগও উঠেছে।
গবেষকদের মতে, হাকালুকি হাওরে ২৩৮টি বিল রয়েছে। এর মধ্যে বাইয়া, গজুয়া, হাওরখাল, রঞ্চি ও কলাপানি জলাশয়ে পাখির ঘনত্ব বেশি। হাওরের মোট আয়তন ১৮,১১৫ হেক্টর, যা মৌলভীবাজার ও সিলেটের পাঁচটি উপজেলায় বিস্তৃত।
স্থানীয়রা জানান, এবছর হাওরে বালিহাঁস, ভুতিহাঁস, গিরিয়া হাঁস, ল্যাঞ্জা হাঁস, গুটি ঈগল, কুড়া ঈগল, সরালি, পানভুলানি, কালিম, টিটি, পেডিসহ ১৫–২০ প্রজাতির অতিথি পাখি এসেছে। পাশাপাশি দেশীয় পাখিও দেখা গেছে।
জৈন্তাপুরের লাল শাপলা বিলেও অতিথি পাখির আগমন ঘটেছে। পাখিরা পানিতে ডুবে, সাঁতার কেটে এবং বিশ্রাম নিয়ে নিরাপদে বিচরণ করছে। পর্যটকরাও নৌকায় চড়ে এ দৃশ্য উপভোগ করছেন।
স্থানীয়রা বলছেন, “আগের তুলনায় এবার হাওরে অতিথি পাখির সংখ্যা বেড়েছে। কেউ তাদের বিরক্ত করছে না এবং সবাই পাখির উপস্থিতি উপভোগ করছে।”
পরিবেশবাদীরা সতর্ক করছেন, হাওরে লোভী মানুষ পাখি শিকার করছে। বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তা ড. জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, শিকারিদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের পরিচালক এমরান হোসেন বলেন, “পাখি শিকার রোধে সচেতনতা বৃদ্ধি ও মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে।”