টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে চলমান পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমায় আরও এক মুসল্লি মারা গেছেন। মৃত ব্যক্তির নাম আশরাফ আলী (৬০)। তাঁর বাড়ি জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া এলাকায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ শুরা–ই–নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) জোড় ইজতেমার দ্বিতীয় দিনে আয়োজিত দাওয়াত, তালিম ও আত্মশুদ্ধিমূলক কর্মসূচিকে ঘিরে দেশব্যাপী মুসল্লিদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ–উদ্দীপনা দেখা গেছে। হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, দেশের ৬৪ জেলা থেকে প্রায় দুই লাখ পুরোনো সাথী ও সময় লাগানো ওলামায়ে কেরাম ইতোমধ্যেই ময়দানে সমবেত হয়েছেন।
এ নিয়ে এবারের জোড় ইজতেমায় মোট তিনজন মুসল্লির মৃত্যু হলো। মুসল্লিদের ঢলে টঙ্গীর ইজতেমা মাঠ এখন প্রায় বিশ্ব ইজতেমার মতো পরিবেশ ধারণ করেছে।
হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, তাবলিগের কাজের মূল সৌন্দর্য বড় আয়োজন নয়, বরং সবার ইখলাস, খেদমত ও দাওয়াতের ত্যাগের মধ্যেই নিহিত। জোড় ইজতেমা তিন চিল্লার সাথী ও অন্তত এক চিল্লা সময় লাগানো ওলামায়ে কেরামের মিলনমেলা হলেও নতুন–পুরোনো সকলের জন্য এটি আত্মশুদ্ধির একটি বড় সুযোগ। এখানে গত এক বছরের কাজের বিবরণ পেশ করা হয় এবং আগামী বছরের দিকনির্দেশনাও ঠিক করা হয়।
এবারের জোড় ইজতেমায় ১৯টি দেশ থেকে প্রায় ৭০০ বিদেশি মেহমান অংশ নিচ্ছেন। অংশগ্রহণকারী দেশের তালিকায় রয়েছে পাকিস্তান, ভারত, কিরগিজস্তান, কানাডা, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, ইয়েমেন, চীন, সৌদি আরব, তিউনিসিয়া, যুক্তরাজ্য, ইতালি, নাইজার, আফগানিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, জাপান, সিঙ্গাপুর ও অস্ট্রেলিয়া। বিদেশি অতিথিদের জন্য ভাষাগত সহায়তা, নিরাপত্তা ও মৌলিক সেবাসহ সব ধরনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
বর্তমানে ময়দানের প্রতিটি খিত্তায় চলছে বয়ান ও নগদ চিল্লার জামাত গঠনের প্রস্তুতি। আগামী ২ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে পাঁচ দিনের এ জোড় ইজতেমার সমাপ্তি হবে।