গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক বছরে যুক্তরাজ্যে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছেন ১ লাখ ১০ হাজার ৫১ জন, যা আগের বছরের তুলনায় ১৩ শতাংশ বেশি। আশ্রয় প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন এসেছে পাঁচটি দেশ থেকে—পাকিস্তান, ইরিত্রিয়া, ইরান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ। যুক্তরাজ্যের ইমিগ্রেশন বিভাগ জানিয়েছে, প্রতি পাঁচজন আশ্রয়প্রার্থীর মধ্যে দুইজনই এই পাঁচ দেশের নাগরিক; যা মোট আবেদনকারীর ৩৯ শতাংশ।
এই পরিসংখ্যানটি সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের ইমিগ্রেশন বিভাগ প্রকাশ করেছে।
আশ্রয় আবেদন বাড়ার ধারাবাহিকতা
২০০৪ থেকে ২০২0 সাল পর্যন্ত প্রতিবছর যুক্তরাজ্যে ২২ হাজার থেকে ৪৬ হাজার মানুষ আশ্রয় চাইত। কিন্তু ২০২১ সালের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে আবেদন হঠাৎ বৃদ্ধি পায়। চলতি বছরের সংখ্যা ১৯৭৯ সালের রেকর্ডের কাছাকাছি এবং ২০২১ সালের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে কেন আবেদন বাড়ছে?
ইউকে বর্ডার সিস্টেম জানায়, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে আশ্রয় আবেদন উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। আবেদনকারীদের বেশির ভাগই যুক্তরাজ্যে প্রথমে ওয়ার্ক ভিসা, স্টাডি ভিসা বা অন্য ভিসায় প্রবেশ করে পরে আশ্রয় দাবি করেছেন।
২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ভিসা নীতির পরিবর্তনের পর ভারতসহ এসব দেশের নাগরিকদের ভিসা নিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশের প্রবণতা আরও বেড়েছে।
কোন পথে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করছে আশ্রয়প্রার্থীরা?
গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী—
-
৪১% (৪৫,১৮৩ জন) ছোট নৌকায় এসেছে
-
১১% (১২,১৭৬ জন) লরি, শিপিং কন্টেইনারসহ অন্যান্য অনিয়মিত পথে
-
৩৮% (৪১,৪৬১ জন) ভিসা বা ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন (ETA) নিয়ে যুক্তরাজ্যে এসে পরে আশ্রয় দাবি করেছে
-
বাকি ১০% অন্যান্য রুটে প্রবেশ করেছে
ইমিগ্রেশন বিভাগ জানায়, কেউ কেউ যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই আশ্রয় দাবি করেন, আবার কেউ কিছু সময় অবস্থান করার পরে নিজেদের দেশে ফিরে যেতে না পেরে অথবা অনিচ্ছুক হয়ে আশ্রয় চান।