বেসরকারি স্কুল ও কলেজের জন্য নতুন জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা–২০২৫ প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ (মাউশি)। রোববার (৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এ নীতিমালায় শিক্ষকদের সরকারি বেতন–ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে কঠোর শর্ত আরোপ করা হয়েছে।
নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি অংশের বেতন–ভাতা পেতে হলে নির্ধারিত সংখ্যক শিক্ষার্থী থাকতে হবে এবং পাবলিক পরীক্ষায় ন্যূনতম পাসের হার বজায় রাখতে হবে। এসব শর্ত পূরণে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক–কর্মচারীদের বেতন–ভাতা বন্ধ থাকতে পারে।
শিক্ষার্থীসংখ্যা সংক্রান্ত শর্ত:
-
নিম্ন মাধ্যমিকে শহরে কমপক্ষে ১২০ এবং মফস্বলে ৯০ শিক্ষার্থী থাকতে হবে।
-
মাধ্যমিকে শহরে ২০০ ও মফস্বলে ১৫০ শিক্ষার্থী বাধ্যতামূলক।
-
উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শহরে ২৫০–৩৯০ এবং মফস্বলে ন্যূনতম ১৯০ শিক্ষার্থী থাকতে হবে।
এ ছাড়া কলেজ পর্যায়েও (এইচএসসি, ডিগ্রি, অনার্স ও মাস্টার্স) শহর–মফস্বলভেদে বিভিন্ন বিভাগে নির্ধারিত সংখ্যক শিক্ষার্থী থাকতে হবে।
পদোন্নতি ও বেতন কাঠামো:
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, এমপিওভুক্ত সহকারী শিক্ষকরা সন্তোষজনক কর্মসম্পাদনের ভিত্তিতে দশম গ্রেডে টানা ১০ বছর চাকরি পূর্তির পর ‘সিনিয়র শিক্ষক’ হিসেবে পদোন্নতি পাবেন। তবে গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী শিক্ষকরা উচ্চতর গ্রেডের আর্থিক সুবিধা পেলেও পদোন্নতির আওতায় আসবেন না।
সহকারী শিক্ষক হিসেবে এমপিওভুক্তির পর ১০ বছরের অভিজ্ঞতা অর্জনকারী শিক্ষকরা ৯ম গ্রেডে (২২,০০০–৫৩,০৬০ টাকা) বেতন পাবেন।
নতুন নীতিমালা কার্যকর হলে নির্ধারিত মানদণ্ড পূরণে ব্যর্থ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বেতন–ভাতা বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা মন্তব্য করছেন।