মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন বিভাগ ফোমেমা স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অকৃতকার্য বিদেশিদের লক্ষ্য করে নকল নথি তৈরি ও সরবরাহকারী একটি চক্রকে গ্রেপ্তার করেছে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অভিযান চালিয়ে চক্রটির মূলহোতাসহ ছয়জন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে পুত্রজায়া থেকে ইমিগ্রেশনের বিশেষ গোয়েন্দা ইউনিটের নেতৃত্বে জালান চেমুর ও জালান ইপুহ এলাকায় একযোগে অভিযান চালানো হয়।
ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শা’বান জানান, আটক ব্যক্তিদের বয়স ২৩ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে। তাদের মধ্যে ‘রায়হান’ নামে একজনকে চক্রটির হোতা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, অসুস্থ বা ফোমেমা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়া বিদেশিদের হয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য এই চক্র ‘জকি’ বা ভুয়া পরীক্ষার্থী সরবরাহ করত। পাসপোর্টে মূল ব্যক্তির তথ্য ঠিক রাখলেও ছবির জায়গায় চক্রের সদস্যদের ছবি বসানো হতো, এবং সেই ভুয়া পরিচয়ে ক্লিনিকে গিয়ে পরীক্ষা সম্পন্ন করা হতো।
চক্রটি প্রতিটি জাল পাসপোর্ট ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ১০০ থেকে ২৫০ রিঙ্গিত করে নিত। গত ছয় মাস ধরে তারা এ কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল এবং বিলাসবহুল বাসায় অবস্থান করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে চলত।
অভিযানে বিভিন্ন দেশের ৭৩টি জাল পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে মিয়ানমার, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশের পাসপোর্ট। এছাড়া ফোমেমার ফর্ম, কম্পিউটার ও নকল তৈরির সরঞ্জামও জব্দ করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে চারজনের বিরুদ্ধে ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩–এর সেকশন ১৫(৪) অনুযায়ী ওভারস্টের প্রমাণ পাওয়া গেছে। বাকি দু’জন বৈধ ভ্রমণ নথি ছাড়া অবস্থানের অভিযোগে সেকশন ৬(৩) ধারায় অভিযুক্ত হতে পারেন।
আটকদের পুত্রজায়া ইমিগ্রেশন দপ্তরে নিয়ে আরও তদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়ার জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে।