আদালত কর্তৃক ফেরারি বা পলাতক আসামি হিসেবে ঘোষিত ব্যক্তিরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। একই বিধান প্রযোজ্য হবে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের ক্ষেত্রেও। এছাড়া প্রজাতন্ত্রের বা কোনো সংবিধিবদ্ধ সরকারি প্রতিষ্ঠানের লাভজনক পদে থাকা ব্যক্তিরাও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, তবে পদত্যাগ করলে তারা প্রার্থী হওয়ার সুযোগ পাবেন।
নির্বাচন কমিশনের জারি করা এক পরিপত্রে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরিপত্রে বলা হয়েছে, একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ তিনটি আসনে মনোনয়ন দাখিল করতে পারবেন। তিনটির বেশি আসনে প্রার্থী হলে তার সব মনোনয়ন বাতিল বলে গণ্য হবে। মনোনয়নপত্র প্রার্থী নিজে অথবা তার প্রস্তাবক কিংবা সমর্থককে সশরীরে রিটার্নিং বা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দিতে হবে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৯ ডিসেম্বর। যাচাই-বাছাই চলবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত।
পরিপত্রে প্রার্থীর যোগ্যতা ও অযোগ্যতার বিষয়গুলোও স্পষ্ট করা হয়েছে। সংবিধানের ৬৬(১)(২) অনুচ্ছেদ ও আরপিওর ১২(১) ধারার আলোকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের নাগরিক এবং ন্যূনতম ২৫ বছর বয়সী ব্যক্তি নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন। তবে আদালত কর্তৃক ফেরারি বা পলাতক ঘোষিত কেউ প্রার্থী হওয়ার যোগ্য হবেন না।
অযোগ্যদের তালিকায় আরও রয়েছেন—আদালত কর্তৃক অপ্রকৃতিস্থ ঘোষিত ব্যক্তি, দেউলিয়া হয়ে দায়মুক্তি না পাওয়া ব্যক্তি, বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণকারী বা আনুগত্য ঘোষণা করা ব্যক্তি, নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্তত দুই বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এবং মুক্তির পর পাঁচ বছর পূর্ণ হয়নি এমন ব্যক্তি।
এছাড়া ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ যোগসাজশকারী (বিশেষ ট্রাইব্যুনাল) আদেশে দণ্ডিত ব্যক্তি, অবসর গ্রহণের তিন বছর পূর্ণ হয়নি এমন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, দুর্নীতির দায়ে বরখাস্ত বা অপসারিত হয়ে পাঁচ বছর পার হয়নি এমন ব্যক্তি, ঋণখেলাপি এবং টেলিফোন, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানিসহ সরকারি সেবা বিল খেলাপিরাও নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।