সিলেটে যে সব সিএনজিচালিত অটোরিকশা মহানগরীতে চলাচল করবে সেগুলোতে সবুজ রঙের ওপর হলুদ রঙের বর্ডার দিয়ে চিহ্নিত করতে হবে। একই সঙ্গে মহানগরী এলাকার বাহিরের সিএনজিচালিত অটোরিকশাগুলোতে সবুজ রঙের ওপর সাদা রঙের বর্ডার দিয়ে চিহ্নিত করতে হবে। সিলেট মেট্রোপলিটন টাফিক বিভাগ ও সিলেট বিআরটিএ থেকে অটোরিকশার বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সিএনজি অটোরিকশা মালিক সমিতি মানববন্ধন করেছে।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে দক্ষিণ সুরমার চন্ডিপুল পয়েন্টে সিলেট মেট্রোপলিটন ও জেলা অটোরিকশা মালিক সমিতির উদ্যোগে এ মানববন্দন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্দনে বক্তারা বলেন, একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনে সিএনজি চালিত অটোরিকশার বিরুদ্ধে চক্রান্ত চলছে। ক্বিনব্রিজের ওপরসহ নগরীর সড়ক দখল করে রেখেছে হকাররা। ব্যাটারিচালিত রিকশার কারনে নগরীতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি করছে সে দিকে নজর না দিয়ে কুচক্রী মহলের চোখ পড়েছে সিএনজির দিকে। সিএনজি অটোরিকশা গারিবের বাহন উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, নগরীর বাহিরের অটোরিকশা সন্তানসম্ভাবা মা সহ রোগী নিয়ে কিভাবে হাসপাতালে যাবে? কিছুদিন আগে বলা হলো অটোরিকশার গায়ে মালিকের পরিচিতি লিখে রাখতে, সে আদেশ আমরা মেনেছি। এখন বলা হচ্ছে হলুদ ও সাদা রং লাগাতে। এটা অন্তর্র্বতী সকারের কোনো নির্দেশনা না, একটি স্বার্থান্বেষী মহলের ইন্ধনে অটোরিকশাকে ভাগ করার অন্যায় আদেশ। বিআরটিএ অফিসেও অটোরিকশা মালিক-শ্রমিকদের হয়রানির শিকার হতে হয়। অবিলম্বে বৈষম্যমুলক এমন নির্দেশনা থেকে কর্তৃপক্ষে সরে আসতে আহবান জানানো হয়। তারা সিলেট প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে সম্মারকলিপি প্রদান করবেন বলে জানান।
মানববন্দনে মালিক সমিতির নেতা মিলাদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সেলিম মিয়ার পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, রোকন মিয়া, জানু মিয়া, শারমিন আক্তার, হোসেন আহমদ লিটন, আব্দুস সামাদ, তৈমুছ মিয়া, সামসু মিয়া, আল আমিন ও আব্দুল জলিল প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন, সামসুর রহমান, কবির আহমদ, রেজুওয়ান আহমাদ বাপ্পি, মকবুল হোসেন, হাসান, ইলিয়াস আহমদ, ছালিক, গিয়াস, আবুবকর, সোহেল, এমদাদ, স্বপন, ফরিদ আহদম, কবির মিয়া, তুরন মিয়া, কয়েছ মিয়া, হাফিজুর, শামীম, মানিক, দুলাল, মাছুম, সোহাগ, জামিল আহমদ, তায়েফ, আলিরাজ, ইকরাম, ফুল মিয়া, ছালিক, বুরহান উদ্দিন, লাল মিয়া, ফুলন মিয়া, মাসুক মিয়া, আফজাল, আব্দুল্লাহ ও এমদাদ প্রমুখ।