সিলেট নগরীর ঐতিহ্যবাহী ধোপাদিঘিতে হঠাৎ করেই হাজারো মাছ মরে ভেসে ওঠায় চারপাশে ছড়িয়ে পড়েছে তীব্র দুর্গন্ধ। সোমবার (৬ অক্টোবর) সকাল থেকে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে দিঘির ওয়াকওয়ে।
স্থানীয়রা জানান, দিঘির পানি থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করলে বিষয়টি ইজারাদার কর্তৃপক্ষ ও সিটি করপোরেশনকে জানানো হয়। এরপর পচে যাওয়া মাছ নৌকায় করে তীরে এনে অপসারণ শুরু হয়। এখনো পানিতে অনেক মরা মাছ ভেসে থাকতে দেখা যাচ্ছে।
সিলেটের অন্যতম বড় জলাশয় ধোপাদিঘি সিটি করপোরেশন কর্তৃক ২১ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে সৌন্দর্যবর্ধন করা হয় এবং ২০২২ সালে এটি উদ্বোধনের পর নগরবাসীর জনপ্রিয় বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি পায়। পরবর্তীতে এটি মেসার্স ঈশান এন্টারপ্রাইজের কাছে ইজারা দেওয়া হয়।
ইজারাদারের এক কর্মচারী দাবি করেন, “দিঘিতে কোনো বিষ প্রয়োগ হয়নি। নতুন মাছ ছাড়ার আগে জাল ফেলার সময় আঘাতে মাছ মারা যেতে পারে।” তবে স্থানীয়রা এই ব্যাখায় সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তাদের ধারণা, ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ দিঘিতে বিষাক্ত পদার্থ মিশিয়েছে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাই রাফিন সরকার বলেন, “ঘটনার তদন্তে স্থানীয় কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” সিসিকের সম্পত্তি কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ দেব জানান, “এত大量 মাছ মারা যাওয়ার কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। কারণ এতে জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি রয়েছে।”
পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা জানান, এ ধরনের ঘটনায় সাধারণত তিনটি কারণ থাকে—পানির রাসায়নিক দূষণ, অক্সিজেনের ঘাটতি বা অতিরিক্ত মাছ চাষের কারণে পানির গুণমানের অবনতি। তবে প্রকৃত কারণ জানতে পানির নমুনা পরীক্ষার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।