সিলেটে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক দীর্ঘদিন ছুটি না নিয়ে পরিবার নিয়ে ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। চাকরি থেকে ইস্তফা না দেয়ায় স্কুলগুলোতে শিক্ষক শূণ্যতার সমস্যা প্রকট হচ্ছে, যা পাঠদানের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
সিলেট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত ২১ মাসে ছুটি না নিয়ে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকার কারণে ১৬৩ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বিশেষ করে বিশ্বনাথ ও বিয়ানীবাজার উপজেলায় বিদেশে অবস্থানের কারণে শিক্ষক শূণ্যতা সবচেয়ে বেশি দেখা দিয়েছে। এছাড়া সিলেট সদর, বালাগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ, জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, দক্ষিণ সুরমা ও ওসমানীনগরেও একই সমস্যা রয়েছে।
গত পাঁচ বছরে সিলেট বিভাগ থেকে হাজারেরও বেশি মানুষ পরিবার নিয়ে বিভিন্ন ভিসায় বিদেশ গমন করেছেন। অনেক শিক্ষকও এই ভ্রমণ বা কাজের ভিসায় বিদেশে গিয়েও দেশে ফিরে আসেননি।
শাখাওয়াত এরশেদ, সিলেট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের পরিচালক, জানান, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৬৩ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে, যাদের অধিকাংশকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে জরিমানা আদায়ের কোনও বিধান নেই।
বর্তমানে সিলেট জেলায় প্রধান শিক্ষকের ৭৮৮টি ও সহকারী শিক্ষকের ৭৫০টি পদ শূণ্য রয়েছে, যা স্কুলগুলোতে পাঠদানে বড় বাধা সৃষ্টি করছে।