কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে হাত বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য বজলুর রহমানের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বজলুর রহমান ওই নারীকে লাঠি দিয়ে পেটাচ্ছেন এবং চুল ধরে টানছেন।
ঘটনাটি ঘটে গত ১৬ অক্টোবর রাতে। অভিযোগ রয়েছে, ওই নারী ও স্থানীয় যুবক বিল্লাল হোসেনকে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে স্থানীয়রা একসঙ্গে আটক করেন। পরে ইউপি সদস্য ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত জনতার উত্তেজনার মধ্যে ওই নারীকে মারধর করেন।
পরদিন গ্রামে সালিশ বৈঠক বসে, যেখানে প্রায় ৩০০ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। সেখানে প্রবাসী স্বামীর সঙ্গে নারীর তালাক সম্পন্ন করা হয় এবং আটক যুবক বিল্লালের সঙ্গে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে নতুন করে তার বিয়ে সম্পন্ন হয়।
বজলুর রহমান দাবি করেছেন, উত্তেজিত পরিস্থিতি শান্ত করতেই তিনি ওই নারীকে হালকা লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। ভিডিও ছড়ানোর পেছনে তার প্রতিপক্ষের হাত রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এদিকে, চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি হিলাল উদ্দিন আহমেদ জানান, নির্যাতনের ভিডিও পুলিশ দেখেছে। তবে ভুক্তভোগী নারী বা তার পক্ষ থেকে কেউ এখনো অভিযোগ করেননি। ইউপি সদস্য বজলুর রহমানকে আটকের চেষ্টা চলছে এবং পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে।