নিউ ইয়র্ক সিটির নতুন মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন জোহরান মামদানি— যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম কোনো মুসলিম ও দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত নেতা এই পদে নির্বাচিত হলেন। মাত্র ৩৪ বছর বয়সে তিনি শহরের গত এক শতাব্দীর মধ্যে সবচেয়ে কমবয়সী মেয়র হিসেবে ইতিহাস গড়েছেন।
নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর প্রথম ভাষণে মামদানি বলেন, “নিউ ইয়র্কের মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে রায় দিয়েছে— এমন এক শহরের পক্ষে, যা সবার সামর্থ্যের মধ্যে থাকবে।” তিনি আরও যোগ করেন, “বন্ধুরা, আমরা একটি রাজনৈতিক রাজবংশকে উৎখাত করেছি। নিউ ইয়র্কের এক নতুন যুগের সূচনা হয়েছে।”
নির্বাচনের ফল ঘোষণার আগেই মামদানির সমর্থকরা শহরের বিভিন্ন স্থানে উৎসব শুরু করেন। ব্রুকলিনের প্যারামাউন্ট থিয়েটারে তার বিজয় উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত পার্টিতে হাজারো মানুষ অংশ নেন। সেখানে নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমসকেও উপস্থিত থাকতে দেখা যায়।
রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী কার্টিস স্লিওয়া ফল ঘোষণার পর মামদানিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “তিনি যদি ভালো করেন, তাহলে নিউ ইয়র্কও ভালো করবে।”
মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রাথমিক ফলাফল অনুযায়ী, মামদানি ৫১ শতাংশ ভোট পেয়ে অ্যান্ড্রু কুওমোকে পরাজিত করেন, যিনি পান ৩৯ শতাংশ ভোট। এটি নিউ ইয়র্কে গত পাঁচ দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোটার উপস্থিতির নির্বাচন বলে জানিয়েছে সিটি বোর্ড অব ইলেকশনস।
জোহরান মামদানি শুধু শহরের সর্বকনিষ্ঠ মেয়রই নন— তিনি আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া প্রথম মুসলিম, যিনি নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র পদে অধিষ্ঠিত হলেন। তার এই বিজয় ডেমোক্র্যাটিক পার্টির বামপন্থী ধারার উত্থানেরও প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, একই দিনে অনুষ্ঠিত অন্যান্য অঙ্গরাজ্যের নির্বাচনে ভার্জিনিয়ার গভর্নর নির্বাচিত হয়েছেন ডেমোক্র্যাট অ্যাবিগেল স্প্যানবার্গার এবং নিউ জার্সির গভর্নর পদে জয়ী হয়েছেন মিকি শেরিল।