তরুণদের বাড়তে থাকা বেকারত্ব কমাতে যুক্তরাজ্য সরকার আগামী তিন বছরে ৫০ হাজার নতুন শিক্ষানবিশ পদ সৃষ্টির ঘোষণা দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে যুবসমাজের কর্মসংস্থান সংকট নিয়ে যে উদ্বেগ ছিল, স্টারমার সরকার এবার সেই সমস্যা মোকাবিলায় বড় আকারের কর্মপরিকল্পনা সামনে আনল।
উকিং–এর ম্যাকলারেন কারখানা পরিদর্শনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার শিক্ষানবিশদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের কার্যক্রম দেখেন। তিনি বলেন, দক্ষতা উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণের ব্যাপ্তি বাড়াতে তার সরকার দৃঢ় লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে এবং তরুণদের জন্য আরও বিস্তৃত সুযোগ তৈরি করাই তাদের প্রধান অগ্রাধিকার। এই সফরটি অনুষ্ঠিত হয় ফর্মুলা–১ তারকা ল্যান্ডো নরিস বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরদিন, যা সফরটিকে আরও নজরকাড়া করে তোলে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত দশ বছরে তরুণদের শিক্ষানবিশ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ প্রায় ৪০ শতাংশ কমে গেছে। এর ফলে দক্ষ কর্মীর ঘাটতি বাড়ছে, বিশেষ করে শিল্প ও প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট খাতে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শ্রমবাজারে প্রতিযোগিতা ধরে রাখতে শিক্ষানবিশ কর্মসূচি সম্প্রসারণ করা এখন সময়ের দাবি।
বর্তমানে যুক্তরাজ্যে প্রায় ১০ লাখ তরুণ (১৬–২৪ বছর বয়সী) কাজ, শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ—কোনটিতেই যুক্ত নয় (NEET)। বিশ্লেষকদের মতে, এই বিপুল যুবসমাজকে কর্মজীবনে ফিরিয়ে আনাই সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। নতুন শিক্ষানবিশ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে এই শ্রেণির তরুণদের একটি বড় অংশ আবার কর্মক্ষেত্রে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবে।
শিল্পখাতের নেতারাও সরকারের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাদের মতে, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, স্বচালিত যান এবং অন্যান্য উদীয়মান খাতে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা দ্রুত বেড়ে চলেছে; নতুন শিক্ষানবিশ সুযোগ সেই ঘাটতি পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এতে তরুণদের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারও আরও শক্তিশালী ভিত্তি পাবে বলে তারা আশা করছেন।
সূত্র: সোশ্যাল মিডিয়া