যুক্তরাজ্যের স্কিলড ওয়ার্কার ভিসা ব্যবস্থা আরও সহজ ও স্বচ্ছ করতে নতুন বেতন কাঠামোর সুপারিশ করেছে দেশটির সরকারি উপদেষ্টা সংস্থা মাইগ্রেশন অ্যাডভাইসরি কমিটি (MAC)। সংস্থাটি পিএইচডি ডিগ্রিধারীদের জন্য বিদ্যমান বিশেষ বেতন ছাড় তুলে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে।
MAC-এর মতে, পিএইচডিধারীরা অন্যান্য দক্ষ কর্মীদের তুলনায় কম বেতন পান—এমন দাবির পক্ষে কোনো শক্ত পরিসংখ্যানগত প্রমাণ নেই। ফলে শুধুমাত্র ডক্টরেট ডিগ্রির কারণে আলাদা বেতন ছাড় দেওয়ার যৌক্তিকতা নেই বলে মনে করছে কমিটি।
টাইমস হায়ার এডুকেশন-এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, স্কিলড ওয়ার্কার ভিসা ব্যবস্থার সার্বিক পর্যালোচনার অংশ হিসেবেই এই সুপারিশ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের জুলাইয়ে সাধারণ স্কিলড ওয়ার্কার ভিসার ন্যূনতম বেতনসীমা বাড়িয়ে ৪১,৭০০ পাউন্ড নির্ধারণের পর সরকার এই পর্যালোচনার দায়িত্ব MAC-কে দেয়।
কমিটি আরও প্রস্তাব করেছে, সব গ্র্যাজুয়েটের জন্য একটি অভিন্ন ‘নিউ এন্ট্রান্ট’ বেতনসীমা নির্ধারণ করা হোক, যা হবে ৩৩,৪০০ পাউন্ড। MAC-এর মতে, এই বেতনসীমা নতুন গ্র্যাজুয়েটদের জন্য যুক্তরাজ্যের শ্রমবাজারে প্রবেশের সুযোগ তৈরি করবে এবং দীর্ঘমেয়াদে দেশের অর্থনীতির জন্যও ইতিবাচক হবে।
পর্যালোচনায় পোস্টডক্টরাল গবেষক ও উচ্চশিক্ষা খাতে কর্মরতদের বিষয়টিও গুরুত্ব পেয়েছে। MAC সুপারিশ করেছে, পোস্টডক পদের ক্ষেত্রে আলাদা কোনো ছাড় না রেখে সাধারণ স্কিলড ওয়ার্কার ভিসার বেতনসীমা—৪১,৭০০ পাউন্ড—প্রযোজ্য করা উচিত।
কমিটির বিশ্লেষণে আরও উঠে এসেছে, সাম্প্রতিক পিএইচডি গ্র্যাজুয়েটদের গড় বেতন এবং স্কিলড ওয়ার্কার ভিসায় কর্মরত অন্যান্য কর্মীদের বেতনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কোনো পার্থক্য নেই। এতে করে পিএইচডিধারীরা যোগ্যতার তুলনায় কম বেতন পান—এই প্রচলিত ধারণা প্রশ্নের মুখে পড়েছে।
বর্তমানে স্কিলড ওয়ার্কার ভিসায় নতুন গ্র্যাজুয়েটরা মানক বেতনের ৭০ শতাংশ হারে বেতন পেতে পারেন, যদি তাঁদের আয় অন্তত ৩৩,৪০০ পাউন্ড হয়। STEM বিষয়ে পিএইচডিধারীরা ৮০ শতাংশ এবং নন-STEM পিএইচডিধারীরা ৯০ শতাংশ হারে বেতন পাওয়ার সুযোগ পান। তবে MAC-এর সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে এই জটিল ছাড় কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে।
সূত্র: দ্য ইকোনমিক টাইমস